খোলা বাজার২৪ ॥ শনিবার, ৭ নভেম্বর ২০১৫: জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে বাংলাদেশের সেরা সাকিব আল হাসানই। ২০০৬ সাল থেকে এখনো পর্যন্ত জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৪২টি ম্যাচে মাঠে নেমেছেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার, তাতে নিজের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ করেছেন ব্যাটে-বলে দুই ভূমিকাতেই। ব্যাট হাতে ৪০.৬২ গড়ে তাঁর সংগ্রহ ১৩০০ রান। এর মধ্যে সেঞ্চুরি আছে ৩টি, ফিফটি ৬টি। বল হাতে ২২.৮২ গড়ে তাঁর ৬৩ উইকেট দুই দলের খেলোয়াড়দের মধ্যেই সেরা।
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ব্যাট হাতে সাকিবের পরপরই চলে আসে আরও তিনজনের নাম। তামিম ইকবাল, মুশফিকুর রহিম ও শাহরিয়ার নাফীস। তামিম জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৩৩টি ম্যাচ খেলে করেছেন ১০৮২ রান, মুশফিকুর রহিমও হাজার ছুঁয়েছেন (১০১৫) ৩৮টি ম্যাচ খেলে। শাহরিয়ার নাফীস ১৭টি ম্যাচ খেলে করেছেন ৭৭৭ রান।
বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানদের মধ্যে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সেরা ব্যাটিং গড় শাহরিয়ার নাফীসের – ৫৫.৫০। ব্যাটিং গড়ের পাশাপাশি তাঁর ব্যাট থেকে আসা তিনটি অপরাজিত সেঞ্চুরিও কিন্তু নাফীসকে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে অন্যতম সেরা পারফরমারের মর্যাদাই দেয়। ব্যাটিং গড়ে এরপরের অবস্থান দুটিতেই আছেন সাকিব (৪০.৬২), মাহমুদউল্লাহ (৩৮.৭৮), রকিবুল হাসান (৩৭.৯১) ও মুশফিকুর রহিম (৩৭.৫৪)।
বল হাতে সাকিবের উইকেট সবচেয়ে বেশি হলেও সবচেয়ে কম গড় কিন্তু আবদুর রাজ্জাকের। ৩২ ম্যাচে তাঁর ৫৬টি উইকেট এসেছে ১৮.৭৮ গড়ে। বর্তমান ওয়ানডে অধিনায়ক মাশরাফি আর একটি উইকেট পেলেই ছুঁয়ে ফেলবেন রাজ্জাককে। ৩৪ ম্যাচে তাঁর সংগ্রহ ৫৫ উইকেট। গড়টাও মন্দ নয়—১৯.৭৮।
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে এখনো পর্যন্ত বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানদের ব্যাট থেকে এসেছে ১০টি সেঞ্চুরি। এর মধ্যে সর্বোচ্চ ৩টি করে সাকিব আল হাসান ও শাহরিয়ার নাফীসের। বাকি চারটি এসেছে মেহরাব হোসেন, মোহাম্মদ আশরাফুল, মুশফিকুর রহিম ও তামিম ইকবালের ব্যাট থেকে। ১৯৯৯ সালের মার্চে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রথম সেঞ্চুরিটি করেছিলেন মেহরাব হোসেন। মেহরাবের সেঞ্চুরিটি কেবল জিম্বাবুয়েই নয়, একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটেও ছিল বাংলাদেশের প্রথম সেঞ্চুরি। ২০০৯ সালের আগস্টে বুলাওয়েতে তামিমের ব্যাট থেকে আসা ১৫৪ রানের ইনিংসটি বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানদের মধ্যে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত সংগ্রহ।
সবচেয়ে বেশি ফিফটি মুশফিকুর রহিমের—৭টি। সাকিব করেছেন ৬টি ফিফটি, তামিমও তাই। হাবিবুল বাশার ও আফতাব আহমেদের ব্যাট থেকে এসেছে ৫টি করে ফিফটি। মাহমুদউল্লাহও ৪টি ফিফটি নিয়ে তালিকায় ওপরের দিকেই আছেন।