খোলা বাজার২৪ ॥ শনিবার, ৭ নভেম্বর ২০১৫: বিশ্বকাপটা দারুণ গেছে। ভালো গেছে বিশ্বকাপের পর পাকিস্তানের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজটাও। কিন্তু পাকিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি থেকে হুট করেই পথ হারালেন। উইকেটের সামনে-পেছনে দুই জায়গাতেই যেন অনুপস্থিত সেই মুশফিকুর রহিম। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে মিরপুর টেস্টে অবশ্য ৬৫ রান করেছিলেন, কিন্তু তার আগের ১৪টি ইনিংসে কোনো ফিফটি নেই। এর পর আজ আবার আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নামলেন। সাদা বদলে রঙিন পোশাকে মুশফিক যেন আরও ঝলমলে। এবার সেঞ্চুরি!
মুশফিকের ১০৭, সাব্বিরের ৫৭, ও তামিম ইকবালের ৪০ রানে সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে সংগ্রহটা দাঁড়িয়েছে ৮ উইকেটে ২৭৩।
মুশফিক যখন উইকেটে এসেছিলেন তখন ৩০ রানের মধ্যে দুই উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশ বেশ বিপাকেই। লিটন দাস ও মাহমুদউল্লাহ দ্রুতই ফিরে গেছেন, স্কোরবোর্ডেও তেমন রান নেই। তামিমের সঙ্গে দলের ইনিংসটা মেরামতের কাজ করলেন মুশফিক। ওভার প্রতি ৪ করে নিয়ে দলের রানটাও ১০০ পার করিয়ে নিলেন তারা। জুটিটাও হলো মোটামুটি ভালো—৭০ রানের।
মাত্র ২৭ বল আর ২৩ রানের মধ্যে আরও দুটি ধাক্কা। তামিমের পর অল্প রানেই ফিরে গেলেন সাকিব আল হাসান। এরপর গোটা দলের দায়িত্বটা যেন নিজের কাঁধেই তুলে নিলেন। যোগ্য সঙ্গ দিলেন অবশ্য সাব্বির রহমান।
মুশফিক-সাব্বির যুগলে রান এল ১১৯। এই দুজনের দারুণ ব্যাটিং স্বপ্ন দেখাচ্ছি আরও বড় কিছুরই। কিন্তু ৫৮ বলে ৫৭ রান করে সাব্বির রান আউট হয়ে গেলেন। নিজের চতুর্থ ওয়ানডে সেঞ্চুরিটি পূরণ করে ১০৭ রানে ফিরলেন মুশফিক। মাত্র ৫ বলের মধ্যে এই দুজনের সঙ্গে নাসিরও ফিরে গেলেন। বড় স্কোরের স্বপ্ন দেখতে থাকা দল যেন আবারও পথ হারানো পথিক।
কিন্তু শেষ দিকে আরাফাত সানি ও মাশরাফি হাত চালিয়ে দলের সংগ্রহটা ২৭০ পার করালেন। সানির ব্যাট থেকে আসে ১৫। মাশরাফি করেন ১৪।
জিম্বাবুয়ের পক্ষে ২টি করে উইকেট নিয়েছেন সিকান্দার রাজা ও তুরাই মুজারাবানি। পানিয়াঙ্গারা ও জঙ্গুয়ের ঝুলিতে গেছে একটি করে। সূত্র: বিটিভি, জিটিভি।