খোলা বাজার২৪ ॥ শনিবার, ৭ নভেম্বর ২০১৫: ৭ নভেম্বর শনিবার বিকাল ৩টায় জিয়া নাগরিক ফোরাম- জিনাফ এর উদ্যোগে জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে ৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস এবং আজকের প্রেক্ষাপট শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সংগঠনের সভাপতি লায়ন মিয়া মোঃ আনোয়ারের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখবেন বিএনপির যুব বিষয়ক সম্পাদক এড. সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন এনডিপির প্রেসিডিয়াম সদস্য মোঃ মঞ্জুর হোসেন ঈসা, বিএনপির সহ স্বেচ্ছা বিষয়ক সম্পাদক এবিএম মোশাররফ হোসেন, স্বাধীনতা ফোরামের সভাপতি আবু নাসের মোঃ রহমাতুল্লাহ, কৃষক দল নেতা শাহজাহান মিয়া স¤্রাট, সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক কে.এ জামান, সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট বাসেত মাস্টার, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ ইব্রাহীম চৌধুরী, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মঞ্জুর আলম, বাহার ফারাজী, জাসাস নেতা সায়েম মজুমদার শিপু, কর্মজীবী দলের সাধারণ সম্পাদক আলতাফ হোসেন সরদার, প্রবাসী প্রত্যাগত দলের সাধারণ সম্পাদক মোঃ সোহরাব হোসেন, ডেমোক্রেটিক কাউন্সিলের সভাপতি এম.এ হালিম, দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলনের সভাপতি কে.এম রকিবুল ইসলাম রিপন, ওলামা দলের ঢাকা মহানগর সাধারণ সম্পাদক ক্বারী রফিকুল ইসলামসহ প্রমুখ। সভা পরিচালনা করেন সংগঠনের সাংগঠনিক সম্পাদক এড. এম. আসাদুজ্জামান খান। প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবক্তা মহান স্বাধীনতার ঘোষক ঐতিহাসিক সিপাহী জনতার রূপকার শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বলেন, ৭ নভেম্বর জাতীয়তাবাদ ও ইসলামী মূল্যবোধের প্রেরণার উৎস। ১৯৭৫ সালের এইদিনে আধিপত্যবাদী চক্রের সকল ষড়যন্ত্র রুখে দিয়ে আমাদের জাতীয় স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব ও গণতন্ত্র রক্ষার দৃঢ় প্রত্যয় বুকে নিয়ে সিপাহী জনতা কাধে কাধ মিলিয়ে রাজপথে নেমে এসেছিল এবং স্বনির্ভর বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে সেদিন বন্দীদশা থেকে মুক্ত করেছি। সেদিন গণতন্ত্রের মুক্তি হয়েছিল আর মীরজাফর স্বাধীনতাবিনাশকারীদের পতন হয়েছিল। দীর্ঘ বছর পর আবারো ষড়যন্ত্রকারীরা মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। তারা দেশকে ধ্বংস করার জন্য এদেশের জনগণের ভোটের অধিকার হরণ করেছে এবং দেশের মানুষকে নানাভাবে কষ্ট দিচ্ছে। তিনি বলেন, প্রতিদিন গুম-খুন-হত্যা ছাড়া নতুন কোন খবর নেই। বর্তমান সরকারের দুঃশাসনামলে দেশী-বিদেশী নারী-শিশু কেউ নিরাপদ নয়। খুন হতে না হতেই এর দোষ বিরোধীদলের উপর চাপিয়ে তারা তাদের ক্ষমতা টেকসই করার যে মহাপরিকল্পনা করছে ছাত্র-জনতা রাজপথে নেমে তাদের পতনকে ত্বরান্বিত করে গণতন্ত্রের যাত্রাকে শুভ সূচনা করবে।