খোলা বাজার২৪ ॥ রবিবার ৮ নভেম্বর ২০১৫: হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বিমানববন্দর রেলস্টেশন পর্যন্ত টানেল নির্মাণের পরিকল্পনা জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
এই টানেলে আশকোনা হাজি ক্যাম্পকেও সংযুক্ত করবে বলে রোববার নগর ভবনে ‘ঢাকা যানবাহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ)’র বোর্ড সভা শেষে সাংবাদিকদের জানান তিনি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, “বিমানবন্দর রেলস্টেশন থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত টানেল নির্মাণ হলে যাত্রীরা এই টানেল ব্যবহার করে বিমানবন্দরে সরাসরি আসতে বা যেতে পারবেন। হাজি ক্যম্পের সাথে এই টানেলের একটি লিংকও থাকছে।”
এতে অর্থায়নে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) প্রাথমিক সম্মতি পাওয়া গেছে বলে জানান মন্ত্রী।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বিমানবন্দরের সঙ্গে রেল স্টেশনের সরাসরি যাতায়তের পথ থাকলেও বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় বিমানবন্দরে সেই সুবিধা নেই।
জার্মানির ফ্রাংকফুর্টের রেল স্টেশনে নেমে ভেতর দিয়েই সরাসরি যাওয়া যায় বিমানবন্দরে। এই ধরনের পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন সড়ক পরিবহনমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। জার্মানির ফ্রাংকফুর্টের রেল স্টেশনে নেমে ভেতর দিয়েই সরাসরি যাওয়া যায় বিমানবন্দরে। এই ধরনের পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন সড়ক পরিবহনমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
ডিটিসিএ বৈঠকে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবিত শান্তিনগর থেকে কেরানীগঞ্জ পর্যন্ত ১৩ কিলোমিটার ফ্লাইওভারের বিষয়ে আলোচনা হয়।
ওবায়দুল কাদের বলেন, “এই ফ্লাইওভার নির্মাণে ডিটিসিএর কাছ থেকে অনুমতি চাওয়া হয়েছে। এলাইনমেন্টগুলো নিয়ে আলোচনা হয়েছে, বাবুবাজার ব্রিজ পার হয়ে এই ফ্লাইওভার শেষ হবে।”
পদ্মা সেতু নির্মাণের পর ১৩ কিলোমিটার ফ্লাইওভার যানজট নিরসনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
আগামী বছর ফেব্র“য়ারি থেকে মেট্রোরেলের (এমআরটি-৬)‘ফিজিক্যাল ওয়ার্ক’ শুরু হচ্ছে জানিয়ে কাদের বলেন, আরও দুটি মেট্রোরেলের সম্ভাব্যতা যাচাই আগামী ডিসেম্বরে শুরু হবে।
২৬ দশমিক ৬ কিলোমিটার দীর্ঘ এমআরটি-১ এয়ারপোর্ট থেকে কমলাপুর এবং ১৬ কিলোমিটার দীর্ঘ এমআরটি-৫ গাবতলী থেকে ভাটারা পর্যন্ত যাবে বলে জানান তিনি।
বৈঠকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন মেয়র সাঈদ খোকন, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ সচিব এমএএন ছিদ্দিক, সেতু বিভাগের সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম, রেল সচিব ফিরোজ সালাহ উদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।