খোলা বাজার২৪ ॥ রবিবার ৮ নভেম্বর ২০১৫: সিলেটে শিশু আবু সাঈদ (৯) হত্যা মামলায় পলাতক আসামির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির নির্দেশ দিয়েছেন নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনালের বিচারক। একই সঙ্গে তার মালামাল জব্দেরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
রোববার (৮ নভেম্বর) এ হত্যা মামলার চার্জগঠনের দিন ধার্য ছিল। তবে এদিন আদালতের বিচারক আব্দুর রশিদ তালুকদার চার্জ গঠন না করে পলাতক আসামি মাছুমের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি ও মালামাল জব্দ করার নির্দেশ দেন।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন- সিলেটের বিমানবন্দর থানার বরখাস্তকৃত কনস্টেবল এবাদুর রহমান পুতুল, ৠাবের কথিত সোর্স আতাউর রহমান গেদা, সিলেট জেলা ওলামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নূরুল ইসলাম রাকিব।
মামলার বাদী পক্ষের আইনজীবী আব্দুল মজিদ খান মানিক এ তথ্য জানান।
এর আগে ২৯ অক্টোবর মেট্টোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক সাহেদুল করিম চার্জ গঠনের তারিখ নির্ধারণের পর মামলাটি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তর করে নথিপত্র নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তর করা হয়।
গত ২৩ সেপ্টেম্বর সিলেট মহানগর হাকিম প্রথম আদালতে অভিযোগপত্রটি দাখিল করেন মহানগর পুলিশের সহকারী কমিশনার (প্রসিকিউশন) আবদুল আহাদ চৌধুরী।
অভিযোগপত্রের ওপর শুনানি অনুষ্ঠিত হয় গত ৭ অক্টোবর। ওই দিন আদালত অভিযোগপত্র আমলে নেন।
এর আগে তদন্তকারী কর্মকর্তা কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি-তদন্ত) মোশাররফ হোসাইন এসি প্রসিকিউশনের কাছে মামলার চার্জশিট (অভিযোগপত্র) হস্তান্তর করেন।
চার্জশিটে সিলেট বিমানবন্দর থানার কনস্টেবল (বরখাস্তকৃত) এবাদুর রহমান পুতুলসহ চারজনকে অভিযুক্ত করা হয়।
অন্যরা হলেন- সোর্স আতাউর রহমান গেদা, সিলেট জেলা ওলামা লীগের সাধারণ সম্পাদক নূরুল ইসলাম রাকিব ও প্রচার সম্পাদক মুহিবুর রহমান মাছুম। এর মধ্যে মাছুম পলাতক ও বাকিরা কারাগারে রয়েছেন।
গত ১১ মার্চ বেলা সাড়ে ১১টায় সিলেট নগরীর রায়নগর থেকে স্কুলছাত্র আবু সাঈদকে (৯) অপহরণ করা হয়। পরবর্তীতে ১৩ মার্চ রাত সাড়ে ১০টায় পুলিশ কনস্টেবল এবাদুর রহমান পুতুলের কুমারপাড়াস্থ ঝরনারপাড় সবুজ-৩৭ বাসার ছাদের চিলেকোঠা থেকে আবু সাঈদের বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
এ ঘটনায় বিমানবন্দর থানার কনস্টেবল এবাদুর, পুলিশের সোর্স গেদা ও ওলামা লীগ নেতা রাকিবকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারের পর তারা তিনজনে ১৬৪ ধারায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
নিহত আবু সাঈদ সিলেট নগরীর রায়নগর শাহমীর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র ও রায়নগর দর্জিবন্দ বসুন্ধরা ৭৪ নম্বর বাসার আব্দুল মতিনের ছেলে।