খোলা বাজার২৪ ॥ রবিবার ৮ নভেম্বর ২০১৫: পাবনায় যাজক হত্যাচেষ্টার সাথে জেএমবির সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেছে উল্লেখ করে র্যাবের মহাপরিচালক বেনজির আহমেদ বলেছেন, বিষয়টিকে নিবিড় পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে জড়িতদের আইনের আনার চেষ্টা করা হচ্ছে, যাতে কোনক্রমে তারা মাথাচাড়া দিতে না পারে। বাংলাদেশে কখনই জঙ্গিবাদ স্থায়ী শেকড় গাড়তে পারবে না।
আজ রোববার দুপুরে পাবনা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে জেলার সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে তিনি একথা বলেন।
মতবিনিময়কালে র্যাব মহাপরিচালক আরও বলেন, দেশে বিনা কারণে দু’জন সম্মানিত বিদেশী মেহমানকে নির্দয়ভাবে, নিষ্ঠুরভাবে খুন করা হয়েছে, পাবনাতেও একজন খ্রিষ্টান যাজককে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে, যা খুবই দু:খজনক।
চলতি বছরের জানুয়ারী থেকে নভেম্বর পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে মোট ৫৭ জন জেএমবি সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এর অর্থ জঙ্গিদের বিরুদ্ধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযান অব্যাহত রয়েছে। আমরা সবাই মিলে যদি চেষ্টা করি তাহলে যারা জঙ্গিবাদি কার্যক্রমে জড়িত, দেশবিরোধী, রাষ্ট্রবিরোধী, সমাজ বিরোধী এসব খুনিদের আইনের মুখোমুখি দাঁড় করাতে পারবো। এজন্য দরকার সবার সম্মিলিত প্রয়াস। আমাদের দেশকে একটি নিরাপদ দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে আমরা কাজ করতে চাই। সবার আত্মনিষ্ঠা, দেশপ্রেম ও উদ্যোগের মাধ্যমে সেটা সম্ভব।
পাবনায় জঙ্গিবাদ প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে র্যাবের এই ডিজি বলেন, উত্তরবঙ্গের জেএমবি জঙ্গীদের উত্থানের পর আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা পর্যায়ক্রমে ১ হাজার ১শ’ জঙ্গীদের গ্রেপ্তার করে তাদের শাস্তির আওতায় নিয়ে আসা হয়েছে। এছাড়া জেএমবির মুল সংগঠনকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিষ্ক্রিয় করতে সক্ষম হয়েছে। পাশাপাশি যারা আদালত থেকে জামিনে বের হয়ে এসেছেন, অনেকে পলাতক ছিল, তাদের পরবর্তী কর্মকান্ডে নিয়মিত নজরদারি করা হচ্ছে। জেএমবি জঙ্গীদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। সবার সহযোগিতায় প্রয়োজনে আরেকবার এসব জঙ্গিদের নিশ্চিহ্ন করা হবে।
সাংবাদিকদের আরেক প্রশ্নের উত্তরে র্যাব ডিজি বেনজীর বলেন, ঈশ্বরদীর পাকশীতে রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পসহ ওই অঞ্চলের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কর্মরত বিদেশি অতিথি ও পর্যটকদের নিরাপত্তার বিষয়ে নিয়মিত মনিটরিং করা হচ্ছে। প্রতিনিয়ত সেখানকার তথ্য আপডেট করে প্রয়োজন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।
এর আগে র্যাব মহাপরিচালক জেলা প্রশাসন, গোয়েন্দা সংস্থা প্রধান ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর প্রধানদের সাথে জেলার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ও পরবর্তী করণীয় নিয়ে বৈঠক করেন। এ সময় রাজশাহী রেঞ্জের ডিআইজি ইকবার বাহার, র্যাব-১২’র সিও শাহাবুদ্দিন খান, র্যাব গোয়েন্দা শাখার প্রধান আবুল কালাম আজাদ, ডিজিএফআই’র রাজশাহীসহ ৫ জেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্নেল জিএস আদিল চৌধুরী, ডিজিএফআই রাজশাহী’র ডিডি আব্দুস সবুর, এনএসআই পাবনার ডিডি মো: আলমগীর হোসেন, র্যাব-১২ পাবনা ক্যাম্পের অধিনায়ক শেখ মুনিরুজ্জামান, পাবনার পুলিশ সুপার আলমগীর কবির, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বিশেষ শাখা) সিদ্দিকুর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।5
