Sun. May 4th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

14খোলা বাজার২৪ ॥সোমবার, ৯ নভেম্বর ২০১৫: আইন মন্ত্রণালয়ের ভেটিং শেষে বৃহস্পতিবারের মধ্যে পৌরসভা নির্বাচনের আচরণ বিধিমালা জারি করা সম্ভব হবে বলে আশা করছে নির্বাচন কমিশন।
প্রস্তাবিত আচরণবিধিতে মন্ত্রী-সাংসদসহ সরকারী সুবিধাভোগীদের পৌর ভোটের প্রচারে রাখার বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করে সমালোচনায় থাকা নির্বাচন কমিশন এখন তাকিয়ে আছে আইন মন্ত্রণালয়ের দিকে।
আইন মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগ রোববারই প্রস্তাবিত বিধিমালা পর্যালোচনা শুরু করেছে। ইসির দু’জন কর্মকর্তা এদিন মন্ত্রণালয়ে গিয়ে প্রস্তাবিত সংশোধনী নিয়ে আলোচনা করেন। নির্বাচন বিধিমালা ও আচরণ বিধিমালার খসড়ার পাশাপাশি তুলনামূলক বিবরণীও মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছিল ইসি।
ইসির যুগ্মসচিব (আইন) মো. শাহজাহান বলেন, “ইসির সংশোধনী প্রস্তাবগুলো হাইলাইট করে দিতে বলেছে মন্ত্রণালয়। সোমবারও আমাদের কর্মকর্তা মন্ত্রণালয়ে যাবেন। খুঁটিনাটি বিষয় বিশ্লেষণ শেষে আশা করি, দু’দিনের মধ্যে ভেটিং শেষ হবে।”
ভেটিং পাওয়া গেলে দ্রুত গেজেট আকারে সংশোধিত বিধিমালা জারি করা হবে বলে জানান তিনি।
আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে পৌরসভা নির্বাচন করতে চলতি মাসের মাঝামাঝি সময়ে তফসিল ঘোষণার ইচ্ছার কথা ইতোমধ্যে জানিয়েছে কাজী রকিউদ্দীন আহমদ নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশন। সেক্ষেত্রে তফসিল ঘোষণার আগেই ইসির হাতে বিধিমালা আসতে হবে।
ইসি কর্মকর্তারা জানান, তাদের প্রস্তাবের কিছু বিষয় সংশোধনীর পক্ষে যথাযথ যুক্তি ও সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব আলাদাভাবে ‘হাইলাইট’ করে দেখাতে বলেছে মন্ত্রণালয়। সেই সঙ্গে সরকারি সুবিধাভোগী ব্যক্তিদের নির্বাচনী প্রচারে অংশ নেওয়ার পক্ষে অবস্থান নিয়েও ইসি ‘বেকায়দায়’ আছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন নির্বাচন কমিশনার বলেন, “মন্ত্রী-এমপিদের প্রচারণার সুযোগ দেওয়ার বিষয়টি বেখেয়ালে হয়ে গেছে। আমরা সেভাবে খেয়াল করিনি। আইনমন্ত্রণায়ের ভেটিংয়ে এখন কী করে দেখি!”
আগের আইনে স্থানীয় সরকারে মন্ত্রী-সাংসদ, মেয়রদের প্রচারে অংশ নেওয়ায় বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও এবার দলীয়ভাবে পৌর নির্বাচন হচ্ছে বলে সংসদ নির্বাচনের মতো করে আচরণবিধি করা হচ্ছে বলে গত বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন নির্বাচন কমিশনার মো. শাহনেওয়াজ।
আইনে প্রধানমন্ত্রী, স্পিকার, ডেপুটি স্পিকার, মন্ত্রী, চিফ হুইপ, বিরোধীদলীয় নেতা, সংসদ উপনেতা, প্রতিমন্ত্রী, হুইপ, উপমন্ত্রী বা তাদের সমমর্যাদার ব্যক্তি, সংসদ সদস্য এবং সিটি করপোরেশনের মেয়রকে ‘সরকারি সুবিধাভোগী গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি’ বোঝানো হয়েছে।
ইসির প্রস্তাব অনুযায়ী বিধিমালা সংশোধন করা হলে এই ‘গুরুত্বপূর্ণ’ ব্যক্তিরাও পৌর নির্বাচনে মেয়র বা কাউন্সিলর প্রার্থীদের পক্ষে ভোটের প্রচারে অংশ নিতে পারবেন। কেবল এই কাজে তারা সরকারি সুযোগ-সুবিধা ব্যবহার করতে পারবেন না। তবে ‘প্রাপ্যতা অনুযায়ী’ তারা নিরাপত্তা পাবেন।
এর সমালোচনা করে নির্বাচন কমিশনের ‘সদিচ্ছা’ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন সাবেক একজন নির্বাচন কমিশনার এবং কয়েকজন রাজনৈতিক নেতা।
এ প্রস্তাবকে ‘অন্যায়’ আখ্যায়িত করে সাবেক নির্বাচন কমিশনার মুহাম্মদ ছহুল হোসাইন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, এ ধরনের বিধি হলে নির্বাচন নিরপেক্ষতা হারাবে। ক্ষমতাসীনরাই সবসময় সুবিধা পাবে।
ইসির আইন শাখার ঊর্ধ্বতন একজন কর্মকর্তাও বলেছেন, “সিটি করপোরেশন, উপজেলা, ইউনিয়ন পরিষদের বিদ্যমান বিধিমালায় সরকারি সুবিধাভোগীদের ভোটের সময় এলাকা সফর বা প্রচারণায় যাওয়ার সুযোগ নেই। পৌরসভায় তা করতে গেলে সাংঘর্ষিক হবে।