Sun. May 4th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

15খোলা বাজার২৪ ॥সোমবার, ৯ নভেম্বর ২০১৫: যশোরে সোনা চোরাচালানের দায়ে ভারতের পাঁচ নাগরিককে তিন বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড এবং ১০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড করেছেন আদালত। একই সঙ্গে তাঁদের কাছ থেকে উদ্ধার করা চার কেজি ৪০০ গ্রাম সোনা রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দেওয়ার আদেশ দেওয়া হয়েছে।
গতকাল রোববার বিকেলে যশোরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ তৃতীয় আদালতের বিচারক আলমাস হোসেন মৃধা এ রায় দেন।
সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন ভারতের নাগপুর সিটির শান্তিনগর নাইকোসি এলাকার বাসিন্দা বিজয় কুমার, নাগপুর জীরাপটকা হুদকো কলোনির কামাল, নিট কোয়াটার এলাকার রাম কুমার গোলাবমাল, কাছিকলি অলোকার সিন্দী ক্যাম্পের বাসিন্দা রোহিত অশোক ও আহমেদাবাদ ভিননাক পার্কের বাসিন্দা রাকেশ লক্ষণ।
রাষ্ট্রপক্ষের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) রফিকুল ইসলাম বলেন, পাঁচ ভারতীয়ই আদালতে সোনা চোরাচালানে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন। আদালত আসামিদের তিন বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা এবং অনাদায়ে আরও এক মাস করে সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন। তাঁদের কাছ থেকে উদ্ধার করা সোনা রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দিতে বলা হয়েছে। সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারে রয়েছেন।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা গেছে, ২০১৪ সালের ২২ জুন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) ২৬ ব্যাটালিয়নের সদস্যরা যশোর-বেনাপোল সড়কে একটি বাসে তল্লাশি চালিয়ে ওই পাঁচ ভারতীয়কে আটক করে। পরে তাঁদের কাছ থেকে ৩৬টি সোনার বার উদ্ধার করা হয়, যেগুলোর মোট ওজন ৪ কেজি ৪০০ গ্রাম। উদ্ধার করা সোনার বাজারমূল্য আনুমানিক দুই কোটি ২০ লাখ টাকা। এ ছাড়া তাঁদের কাছ থেকে বাংলাদেশি টাকা, ভারতীয় রুপি ও দুবাইয়ের দিরহাম পাওয়া যায়।
এ ঘটনার পর বিজিবি ২৬-ব্যাটালিয়নের হাবিলদার আজিজুল হক বাদী হয়ে যশোর কোতোয়ালি মডেল থানায় আটক পাঁচজনকে আসামি করে চোরাচালান দমন আইনে মামলা করেন। তদন্ত শেষে গত ১ জানুয়ারি ওই পাঁচজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শাহিনুর রহমান। এরপর বিচারকাজ শেষে গতকাল রায় দেওয়া হয়।