
আজ সোমবার দুপুরে নয়াপল্টনস্থ যাদু মিয়া মিলনায়তনে ৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ ঢাকা মহানগর আয়োজিত আলোচনা সভায় নগর আহ্বায়ক সৈয়দ শাহজাহান সাজু‘র সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখন ন্যাপ মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া, আলোচনায় অংশগ্রহন করেন এনডিপি প্রেসিডিয়াম সদস্য মোঃ মঞ্জুর হোসেন ঈসা, ন্যাপ যুগ্ম মহাসচিব স্বপন কুমার সাহা, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ কামাল ভুইয়া, নগর সদস্য সচিব মোঃ শহীদুননবী ডাবলু, জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক দলের সাধারন সম্পাদক হুমায়ূন কবির বেপারী, যুগ্ম আহ্বায়ক আনছার রহমান শিকদার, মোঃ আনোয়ার হোসেন, জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক ফাউন্ডেশনের মোঃ জসিমউদ্দিন মজুমদার প্রমুখ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া বলেছেন, আকাশছোঁয়া স্বপ্ন, দিগন্ত বিস্তৃত প্রত্যাশা নিয়ে এদেশের মানুষ ১৯৭১ সালে স্বাধীনতাযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। কিন্তু স্বাধীনতার পর তাদের সেই স্বপ্ন ও প্রত্যাশা ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল স্বদেশী নব্য-শাসকদের মদমত্ততায়। বর্তমানেও দেশে সেই অবস্থাই বিরাজ করছে। আবারো মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে হত্যা করে ডিজিটাল কায়দায় একদলীয় শাসন প্রতিষ্ঠা করতে চাচ্ছে আওয়ামী লীগ। তিনি বলেছেন, বহুদলীয় রাজনীতি যদি না থাকে তাহলে সমাজ রাষ্ট্রে অশুভ ও অগণতান্ত্রিক শক্তির উত্থান ঘটতে বাধ্য। অশুভ শক্তির সাথে জড়িতারাই দেশে গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা ব্যাহত করতে ব্লগারদের হত্যা করছে। আর অশুভ শক্তির উত্থান হচ্ছে বর্তমান সরকারের ভূল নীতির কারণে। বর্তমান সরকার গণতান্ত্রিক শক্তিগুলো বা বিরোধী রাজনৈতিক শক্তিগুলো নিস্তেজ করার যে কৌশল গ্রহন করেছে তাতে অগণতান্ত্রিক শক্তি কবলে পড়তে পারে রাষ্ট্র।
তিনি আরো বলেন, সরকারের উচিত হবে, দেশ-গণতন্ত্র রক্ষার স্বার্থে অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে জাতীয় ঐকমত্য গড়ে তোলা।
তিনি বলেন, দেশের চলমান রাজনৈতিক সমস্যা সমাধানে দেশের সকল নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের সমন্বয়ে জাতীয় সংলাপের আহ্বানের জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, রাজনৈতিক সমস্যা সংলাপের মাধ্যমেই সমাধান করতে হবে। রাষ্ট্রীয় শক্তি প্রয়োগ করে রাজনৈতিক সমস্যা চাপা দেয়ার সরকারের অপচেষ্ঠা বুমেরাং হতে পারে। আর সে জন্য বর্তমান সরকারকেই দায়ি থাকতে হবে।
সভাপতির বক্তব্যে সৈয়দ শাহজাহান সাজু বলেছেন, ৭নভেম্বরের বিপ্লবের মধ্যে দিয়ে চক্রান্ত মুক্ত হয়ে সশস্ত্র বাহিনীতে শৃংখলা ও ঐক্য প্রতিষ্ঠিত হয়। আধিপত্যবাদী শক্তির স্বার্থের পরিপূরক অবস্থান থেকে বাংলাদেশ নামের জাতিরাষ্ট্র বা নেশনস্টেটটির নাগরিকরা রাষ্ট্রভিত্তিক, আধুনিক ও বাস্তবসম্মত এক জাতীয় পরিচয় অর্জন করে। আর আত্মপরিচয় লাভের মাধ্যমে নবোদ্দীপ্ত এবং আত্মোপলব্ধির মাধ্যমে নবোত্থিত এই বাংলাদেশী জাতিসত্তাকে স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য, স্বকীয়তা, মর্যাদা, নিজস্ব সংস্কৃতি, স্বাধীন অর্থনীতি ও গৌরব নিয়ে সমুখ পানে এগিয়ে চলার প্রশস্ত নতুন মহাসড়ক গড়ে দেন জিয়াউর রহমান।