Tue. May 13th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

60খোলা বাজার২৪ ॥সোমবার, ৯ নভেম্বর ২০১৫: তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের প্রথমটিতে ১৪৫ রানের বড় ব্যবধানে সফরকারী জিম্বাবুয়েকে হারিয়েছিল বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ওয়ানডেতে জয় পেলেই নিশ্চিত হয়ে যাবে স্বাগতিকদের সিরিজ জয়। প্রতিপক্ষকে ২৪২ রানের লক্ষ্য ছুড়ে দেওয়ার পর ৪২.৫ ওভারেই ১৮১ রানে তাদের ৯ উইকেট ছিনিয়ে নিয়েছে টাইগাররা। সিরিজ জয়ের জন্য স্বাগতিকদের প্রয়োজন ১ উইকেট।
টাইগারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের সামনে লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতেই খেই হারিয়ে ফেলে এলটন চিগাম্বুরার দল। মাশরাফি, সানি, মুস্তাফিজদের বোলিং তোপে ভেঙ্গে পড়ে তাদের টপ অর্ডার। ২০ ওভারে মাত্র ৭৮ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে ফেলে জিম্বাবুয়ে।
কিন্তু এরপরই সিকান্দার রাজাকে নিয়ে জুটি গড়ে ভাঙ্গন প্রতিরোধের চেষ্টা চালান অধিনায়ক চিগাম্বুরা। কেবল প্রতিরোধ না, গত ম্যাচে দলের হয়ে সর্বোচ্চ রান করা চিগাম্বুরা ও সিকান্দার রাজার ব্যাটিং স্বাগতিকদের প্রতি চোখও রাঙ্গাচ্ছিল। ৭৩ রানের জুটি গড়ে ক্রমশ ব্যবধান কমিয়ে আনছিলেন তারা।
কিন্তু সিরিজ জয়ের পথের সে বাধা ভেঙ্গে দিলেন পেসার আল-আমিন হোসেন। দুর্দান্ত বোলিংয়ে এক ওভার ব্যবধানে দুই ব্যাটসম্যানকেই সাজঘরে ফিরিয়েছেন তিনি। তার বলে ব্যাক্তিগত ৩৩ রানে ইমরুল কায়েসকে ক্যাচ দিয়ে প্রথম সাজঘরে ফিরেন সিকান্দার রাজা। পরে সেই ইমরুল কায়েসের তালুবন্দি হয়েই মাঠ ছাড়েন অধিনায়ক চিগাম্বুরা, আউট হওয়ার আগে তিনি খেলেছেন ৪৭ রানের দুর্দান্ত ইনিংস।
এর আগে ওপেনার চাকাবাকে স্পিনার আরাফাত সানি ও চিবাবাকে অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা সাজঘরে ফিরিয়েছেন। এছাড়া উইলিয়ামসকে আউট করেছেন বিস্ময়বালক মুস্তাফিজুর রহমান। অন্যদিকে এরভাইন ব্যাক্তিগত ২৬ রানে রান আউট হয়ে মাঠ ছেড়েছেন।
এর আগে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৯ উইকেটে ২৪১ রান সংগ্রহ করেছে স্বাগতিক বাংলাদেশ।
সোমবার মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে টস জিতে আগে ব্যাটিং করেছে বাংলাদেশ। শুরুটা ভাল হয়নি মাশরাফিদের। দলীয় ৩২ রানেই আউট হয়েছেন ওপেনার তামিম ইকবাল। এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারানো বাংলাদেশ লড়াই করার মতো পুঁজি পেয়েছে ওপেনার ইমরুল কায়েস ও অলরাউন্ডার নাসির হোসেনের ব্যাটে।
দীর্ঘদিন পর ওয়ানডে দলে ফেরা ইমরুল কায়েস খেলেছেন সর্বোচ্চ ৭৬ রানের ইনিংস। ক্রেমারের তালুবন্দী হওয়ার আগে ৮৯ বলের দাপুটে ইনিংসটি তিনি সাজিয়েছিলেন ৬ চার ও ৪ ছক্কায়। এ ছাড়া অন্য কোনো ব্যাটসম্যানই হাফসেঞ্চুরি পূর্ণ করতে পারেননি এই ম্যাচে।
তবে অলরাউন্ডার নাসির হোসেন খেলেছেন ৪১ রানের কার্যকর ইনিংস। ৫৩ বল মোকাবেলায় ৩ বাউন্ডারিতে এই রান করেছেন তিনি।
এ ছাড়া গত ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান মুশফিকুর রহিম ২১, সাব্বির রহমান ৩৩, তামিম ইকবাল ১৯ ও অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা ১৩ রান সংগ্রহ করেছেন।
জিম্বাবুয়ের হয়ে পানিয়াঙ্গারা ৩টি, ক্রেমার ও মুজারাবানি ২টি করে এবং উইলিয়ামস ও জোঙ্গউই ১টি করে উইকেট নিয়েছেন। বাংলাদেশী ব্যাটসম্যানদের সবাই ক্যাচ আউট হয়েছেন, এর মধ্যে ৪ জনই সফরকারীদের উইকেটরক্ষক চাকাবার তালুবন্দী হয়েছেন।
সোমবার বাংলাদেশ সময় দুপুর ১টায় ম্যাচটি শুরু হয়েছে। সরাসরি সম্প্রচার করছে বিটিভি ও গাজী টিভি।
পারিবারিক কারণে রবিবার রাতেই সাকিব আল হাসান যুক্তরাষ্ট্রে চলে গিয়েছেন। তাইপ্রথম ম্যাচের স্কোয়াডে না থাকলেও সোমবার মাঠে নেমেছেন ইমরুল। আর দলে ফিরেই দারুণ একটি ইনিংস উপহার দিয়েছেন তিনি। এ ছাড়া প্রথম ম্যাচের একাদশে আর কোনো পরিবর্তন করেনি বাংলাদেশ।