খোলা বাজার২৪ ॥মঙ্গলবার, ১০ নভেম্বর ২০১৫: বাংলাদেশে হত্যাকাণ্ডের পর আইএসের নামে দায় স্বীকারের বার্তা এলেও তার সঙ্গে মধ্যপ্রাচ্যের এই জঙ্গি সংগঠনটির কোনো সম্পৃক্ততা নেই বলে দাবি করেছেন র্যাবের মহাপরিচালক বেনজির আহমেদ।
দুই বিদেশি হত্যাকাণ্ডের পর আইএসের দায় স্বীকারের খবর সাইট ইন্টেলিজেন্স গ্রুপ দিলেও তার সত্যতা নিয়ে শুরু থেকে প্রশ্ন করে আসছিল বাংলাদেশ সরকার।
‘অন্য পরিকল্পনা’ থেকে আইএসের অস্তিত্ব স্বীকারের চাপ আসছে বলে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের একদিন বাদেই খুলনায় সাংবাদিকদের কাছে নিজেদের অনুসন্ধানের ফল জানালেন বেনজির।
তিনি বলেন, “আইএস তাদের (দুই বিদেশি) হত্যা করলে তাদের ওয়েবপেইজ থেকে তারা দায় স্বীকার করত। কিন্তু দায় স্বীকার করা হয়েছে সোশাল মিডিয়ায়।
“আর অনুসন্ধানে জানা গেছে, দায় স্বীকারের একটি করা হয়েছে গাজীপুরের টঙ্গী এবং অপরটি ঢাকার যাত্রাবাড়ী থেকে। ফলে আইএসের যে দায় স্বীকারের কথা বলা হচ্ছে তা ‘মেইড ইন টঙ্গী অ্যান্ড যাত্রাবাড়ীর’।”
‘সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা’ থেকে আইএসের কথা বলা হচ্ছে দাবি করে র্যাবপ্রধান বলেন, লন্ডন ও ভারত থেকে আইএসের দুটি দল বাংলাদেশে এসেছিল। তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
আশুলিয়ায় পুলিশের উপর হামলার ঘটনায় সমন্বিত তদন্ত হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, এক্ষেত্রে কারও কোনো গাফিলতি পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
যুদ্ধাপরাধী সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী ও আলী আহসান মো. মুজাহিদের আইনি কার্যক্রমের চূড়ান্ত নিষ্পত্তির আগে বিশৃঙ্খলার চেষ্টা হলে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী তা ঠেকাতে তৎপর থাকবে।
সার্কিট হাউসে সংবাদ সম্মেলনে বেনজিরের সঙ্গে ছিলেন খুলনার বিভাগীয় কমিশনার মো. আব্দুস সামাদ, ডিআইজি এস এম মনির উজ জামান, খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার নিবাস চন্দ্র মাঝি, খুলনার জেলা প্রশাসক মো. মোস্তফা কামাল, র্যাব-৬ খুলনার কমান্ডিং অফিসার অতিরিক্ত ডিআইজি খন্দকার রফিকুল ইসলাম, খুলনা জেলা পুলিশ সুপার মো. হাবিবুর রহমান প্রমুখ।
এর আগে সার্কিট হাউজের সম্মেলন কক্ষে খুলনা বিভাগের প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক হয় র্যাব প্রধানের।