খোলা বাজার২৪ ॥মঙ্গলবার, ১০ নভেম্বর ২০১৫: বিশ্ব খুব শীঘ্রই ধ্বংসের মুখে পতিত হতে চলেছে। সম্প্রতি জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে এরকম ভয়ানক পরিণতির কথা আলচনায় এসেছে। খুব শীঘ্রই অনেক বন্যা হবে এবং এর ফলে পৃথিবীর ৪৭০ থেকে ৭৬০ মিলিয়ন মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়তে পারে।
প্রতিনিয়ত তাপমাত্রা বৃদ্ধির কারণে বরফের স্তূপ গলে এই ভয়ানক বন্যার আবির্ভাব ঘটতে পারে। নিম্নে তাপমাত্রা পরিবর্তনের কারণে যেভাবে এই বন্যার আবির্ভাব হবে, তা বর্ণনা করা হল-
১. জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ভারতের উপকূলীয় অঞ্চলে প্রায় ৫৫ মিলিয়ন মানুষ ক্ষয়ক্ষতির শিকার হতে পারে।
২. বৈশ্বিক তাপমাত্রা যদি আরও ৪ ডিগ্রি বৃদ্ধি পায়, যা বর্তমান গ্রহ নক্ষত্রের নির্দেশ করে, তাহলে সমগ্র বিশ্বের তার মানচিত্র পুনর্র্নিমাণ করতে হবে।
৩. তাপমাত্রা বৃদ্ধির ফলে চীনের ১৪৫ মিলিয়ন মানুষের মধ্যে সমস্যার সৃষ্টি হবে। যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক একটি গবেষণা কেন্দ্র চীনে এ বিষয়ে সতর্কতা জারি করেছেন।
৪. পানির উচ্চতা বৃদ্ধির ফলে বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন এলাকা যেমন- চীনের সাংহাই এবং শান্তাও প্রদেশে, ভারতের হাওড়া, কলকাতা ও মুম্বাইয়ে, ভিয়েতনামের হ্যানয় এবং বাংলাদেশের খুলনায় এই বন্যার আশংকা করা হচ্ছে।
৫. এই মানবসৃষ্ট প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে রক্ষা পেতে হলে আমাদের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। আমরা যদি তাপমাত্রা দুই ডিগ্রীর মধ্যেই নিয়ন্ত্রিত করতে পারি তাহলে এই দুর্যোগ হতে রক্ষা পেটে পারি।
৬. তাপমাত্রা দুই ডিগ্রি বৃদ্ধি পাবার মধ্যে নিয়ন্ত্রণে আসলে কম জমি বন্যায় প্লাবিত হবে এবং ভারতের ২০ মিলিয়ন ও চীনের ৬৪ মিলিয়ন মানুষকে ক্ষতির শিকার হতে হবে।
৭. বিশ্বব্যাপী কার্বন নির্গমন কমিয়ে আনা গেলে প্রায় ১৩০ মিলিয়ন মানুষকে এই ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করা যেত।
৮. প্রায় ১২টি দেশ এই বন্যার দ্বারা আঘাতপ্রাপ্ত হবে। প্রতিটি দেশের প্রায় ১০ মিলিয়ন লোকের ভুগতে হতে পারে।
৯. বিশ্বের সবচেয়ে ধনী দেশ আমেরিকা এই ক্ষতির মধ্যে সবচেয়ে বেশি পতিত হবে। এছাড়াও ভারত ও চীনকে এই হুমকির সম্মুখীন হতে হবে। এতে এই দেশসমূহ ২৫ মিলিয়ন মানুষ হারাবে বলে অনুমান করা হচ্ছে।
১০. ভারত, চীন ও যুক্তরাষ্ট্র থেকে বিশ্বের শীর্ষ তিন কার্বন এমিটার্স হয়। যার ফলে ক্ষতির সম্মুখীন তারাই প্রথমে হবে।