Thu. Aug 7th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

66খোলা বাজার২৪ ॥মঙ্গলবার, ১০ নভেম্বর ২০১৫: রেলের যাত্রীসেবা আরও উন্নত ও আরামদায়ক করতে ২৫০টি যাত্রীবাহী কোচ ও ১০টি ইঞ্জিন কিনছে সরকার।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মঙ্গলবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় এ দুটি প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়।
বৈঠকে রেলের এ দুই প্রকল্পসহ ৬ হাজার ২৫০ কোটি ৫৮ লাখ টাকা ব্যয়ের ১০টি উন্নয়ন প্রকল্প অনুমোদন হয়েছে বলে পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল সাংবাদিকদের জানিয়েছেন।
১০টি প্রকল্পে মোট ব্যয়ের ২ হাজার ৬৭২ কোটি ৪৫ লাখ টাকার জোগান দেওয়া হবে সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে। প্রকল্প সহায়তা হিসেবে পাওয়া যাবে ৩ হাজার ৫৭৮ কোটি ১৩ লাখ টাকা।
শেরে বাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে একনেক সভার পর সংবাদ সম্মেলনে এসে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, রেলের উন্নয়নে গৃহীত প্রকল্প দুটির ব্যয় ধরা হয়েছে ২ হাজার ১০৮ কোটি টাকা।
এর মধ্যে সরকার ৫৭৪ কোটি টাকা দেবে, বাকি ১ হাজার ৫৩৪ কোটি টাকা প্রকল্প সহায়তা হিসেবে আসবে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) কাছ থেকে।
২০১৯ সালের মধ্যে রেলের এই কেনার কাজটি শেষ করতে চায় সরকার।
মুস্তফা কামাল বলেন, একটি প্রকল্পের আওতায় ২০০টি মিটারগেজ এবং ৫০টি ব্রডগেজ কোচ কেনা হবে। এ জন্য ব্যয় হবে ১ হাজার ৩৭৪ কোটি টাকা। এছাড়া কোচগুলো ধুয়ে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার জন্য ২টি ট্রেন ওয়াশিং প্ল্যান্ট এ প্রকল্পের আওতায় কেনা হবে।
অন্য প্রকল্পের মাধ্যমে রেলের জন্য ১০টি ইঞ্জিন (লোকোমেটিভ), চারটি রিলিফ ক্রেন এবং একটি লোকোমোটিভ সিমুলেটর কেনা হবে। এতে ব্যয় হবে ৭৩৩ কোটি ৬১ লাখ টাকা।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, বর্তমানে রেলওয়ের মিটারগেজে চলার উপযোগী ১ হাজার ১৬৫টি যাত্রীবাহী কোচ রয়েছে, যার মধ্যে ৫৯১টির অবস্থা ভালো নয়। অন্যদিকে, ব্রডগেজে চলার জন্য রেলওয়ের ৩২৪টি কোচ রয়েছে, যার মধ্যে ৭৮টির অর্থনৈতিক আয়ুষ্কাল ফুরিয়ে গেছে।
রেলওয়ের এ সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে তিনি বলেন, “নতুন কোচ কেনা হলে তা ইন্টারসিটি ট্রেন হিসেবে চলবে। একইসাথে পুরোনো কোচগুলো নতুন কোচ দিয়ে স্থানান্তরিত হবে। আমি আশা করছি, এতে যাত্রীরা নিরাপদ, উন্নত ও আরামদায়ক রেলসেবা পাবেন।”
পুরনো বগিগুলো মেইল ট্রেন ও লোকাল ট্রেনে ব্যবহারের পরিকল্পনাও জানান পরিকল্পনামন্ত্রী।
একনেক বৈঠকে পশ্চিমাঞ্চল ও দক্ষিণ- পশ্চিমাঞ্চলের ২৪টি জেলায় ৬১টি ছোট ও মাঝারি সেতু নির্মাণে ২ হাজার ৯১২ কোটি ৭৫ লাখ টাকায় ‘ওয়েস্টার্ণ বাংলাদেশ ব্রিজ ইমপ্রুভমেন্ট প্রজেক্ট’ শীর্ষক আরও একটি প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়।
এই প্রকল্পটির অধীনে ৬১টি সেতু নির্মাণ করা হবে। এগুলোর সম্মিলিত দৈর্ঘ্য ৪ হাজার ৭১৫ মিটার।
মঙ্গলবারের সভায় অনুমোদন পাওয়া অন্য প্রকল্পগুলো হচ্ছে- আধুনিক সুবিধাসহ ন্যাশনাল প্রোডাকটিভিটি অর্গানাইজেশন (এনপিও) ও পেটেন্ট, ডিজাইন ও ট্রেডমার্কস অধিদপ্তর (ডিপিডিটি) এর অফিস ভবন নির্মাণ, এর ব্যয় প্রায় ৪৫ কোটি টাকা।
প্রায় ২১৮ কোটি টাকায় বাস্তবায়ন করা হবে ‘ঢাকা জেলার দোহার উপজেলাধীন আওরঙ্গাবাদ হতে ব্রাহা বাজার ঘাট পর্যন্ত পদ্মা নদীর বামতীর সংরক্ষণমূলক কাজ’ প্রকল্প। প্রায় ১৭২ কোটি টাকায় বাস্তবায়ন করা হবে ‘সোনাপুর (নোয়াখালী)-সোনাগাজী (ফেনী)-জোরারগঞ্জ (চট্টগ্রাম) সড়ক উন্নয়ন প্রকল্প।
২১৮ কোটি টাকায় বাস্তবায়ন করা হবে ‘শেরেবাংলা নগরে বাংলাদেশ জাতীয় সচিবালয় কর্মকর্ত/ কর্মচারীদের জন্য ৪৪৮টি ফ্ল্যাট নির্মাণ (সংশোধিত) প্রকল্প।
‘বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালস এর উন্নয়ন’ প্রকল্পে ব্যয় হবে ২৫৭ কোটি টাকা। সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন (২য় সংশোধিত) প্রকল্পে ব্যয় হবে ১১১ কোটি টাকা। প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন প্রকল্পে (১ম সংশোধিত) ব্যয় হবে ২১০ কোটি টাকা।

অন্যরকম