Sat. May 3rd, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

78খোলা বাজার২৪ ॥ বুধবার, ১১ নভেম্বর ২০১৫: জিম্বাবুয়েকে আবারো বাংলাওয়াশ করলো টাইগাররা! আরো একবার করলো ধবলধোলাই! এ নিয়ে তিনবার ওয়ানডেতে বাংলাদেশের কাছে হোয়াইটওয়াশ হলো জিম্বাবুয়ে। সব মিলিয়ে ১১ বার প্রতিপক্ষকে ওয়ানডেতে হোয়াইটওয়াশ করার অভিজ্ঞতা হলো বাংলাদেশের। শেষ হোয়াইটওয়াশের মজা টাইগাররা নিয়েছে গত এপ্রিলে। পাকিস্তানকে (৩-০) প্রথমবারের মতো বাংলাওয়াশ করে টাইগাররা। সিরিজটা ছিল বাংলাদেশেই। মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে আরো একটি বাংলাওয়াশের উৎসবে মেতেছে টাইগাররা। ২০১৫ সালে একটাও ওয়ানডে সিরিজ হারেনি টাইগাররা। অপরাজিত তারা।
তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেটা বাংলাদেশ জিতেছে ৬১ রানে। আগে ব্যাট করে ৯ উইকেটে ২৭৬ রান তুলেছিল স্বাগতিকরা। এরপর জিম্বাবুয়েকে ৪৩.৩ ওভারে ২১৫ রানে অল আউট করে হোয়াইটওয়াশ করে দেয় মাশরাফি বিন মুর্তজার দল। এক ম্যাচ হাতে রেখেই আগের ম্যাচে টানা পঞ্চম সিরিজ জয় নিশ্চিত করেছে মাশরাফিরা। মুস্তাফিজুর রহমান নিয়েছেন ৫ উইকেট। তবে ম্যান অব দ্য ম্যাচ হয়েছেন ৭৩ রান করা তামিম ইকবাল। ম্যান অব দ্য সিরিজ হয়েছেন মুশফিকুর রহিম।
২০০৬ সালে প্রথমবারের মতো জিম্বাবুয়েকে ৫ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে হোয়াইটওয়াশ করেছিল বাংলাদেশ। সিরিজটা হয়েছিল বাংলাদেশেই। এরপর এই প্রতিপক্ষকে শেষবার হোয়াইটওয়াশ করে গত বছরের নভেম্বর-ডিসেম্বরে। বাংলাদেশেই ছিল সিরিজটি। এবং ফলাফল হয় ৫-০। এবার তিন ম্যাচে ৩-০ তে জিতলো টাইগাররা।
২৭৭ রানের টার্গেট জিম্বাবুয়ের সামনে। প্রথম ওভারের দ্বিতীয় বলেই চামু চিভাভাকে (৪) তুলে নেন মুস্তাফিজুর রহমান। এরপর ৩৯ রানের জুটি গড়ে তোলেন রেগিস চাকাভা ও ক্রেগ আরভিন। কিন্তু ৪ রানের মধ্যে ফিরে যেতে হয় তাদের। ওপেনার চাকাভাকে (১৭) তুলে নিয়েছেন মুস্তাফিজ। আর নবম ওভারে বল করতে এসে নিজের প্রথম ওভারেই আরভিনকে (২১) শিকার করেছেন নাসির।
কাটা হয়ে বিধছিল এল্টন চিগুম্বুরা ও শন উইলিয়ামসের চতুর্থ উইকেট জুটি। ৮০ রান তুলে ফেলেন তারা। অধিনায়ক মাশরাফি মুর্তজা জুটি ভাংতে বল দেন সাব্বির রহমানকে। নিজের দ্বিতীয় ওভারে সাব্বির তুলে নেন চিগুম্বুরার মূল্যবান উইকেট। ৪৫ রান করা চিগুম্বুরাকে বোল্ড করে দেন সাব্বির।
এরপর ৫৯ রানের জুটি গড়ে ওঠে উইলিয়ামস ও ম্যালকম ওয়ালারের মধ্যে। ২ রানের মধ্যে জিম্বাবুয়ের সেট দুই ব্যাটসম্যানকে তুলে নেন বাংলাদেশী বোলাররা। ওয়ালারকে (৩২) আউট করেন আল আমিন হোসেন। মাশরাফি তুলে নেন উইলিয়ামসকে (৬৪)।
এরপর ফেরেন মুস্তাফিজ। পরপর দুই বলে তুলে নেন সিকান্দার রাজা (৯) ও লুক জংবিকে (১১)। হ্যাটট্রিকের সুযোগটা কাজে লাগানো যায়নি। তবে পানিয়াঙ্গারাকে শিকার করে ৯ ম্যাচের ক্যারিয়ারে তৃতীয়বারের মতো ৫ উইকেট শিকারের কীর্তি গড়লেন মুস্তাফিজ! ৮ ওভারে ৩৪ রানে ৫ উইকেট নিয়েছেন মুস্তাফিজ। শেষ উইকেটটি সানির।
জিম্বাবুয়েকে ধবলধোলাইয়ের ম্যাচটিতে ইমরুল কায়েস ও তামিমের জুটি বিরাট সংগ্রহের ভিত গড়ে দেয়। ১৪৭ রান আসে ওপেনিং জুটিতে। এটা এই জুটির সেরা রান। সেঞ্চুরির সুবাস পাচ্ছিলেন দুই ওপেনারই। কিন্তু গত ম্যাচে ৭৬ রান করা ইমরুল এই ম্যাচে ৭৩ রানে বিদায় নেন। সমান ৭৩ রান করে ফিরে যান তামিমও।
এউ জুটির বিদায়ের পর ১৯০ পর্যন্ত ভালোই গেছে বাংলাদেশের। কিন্তু মুশফিকুর রহিমের (২৮) বিদায়ের পর ধ্বস নামে বাংলাদেশের ইনিংসে। ৪ রানের মধ্যে তিন উইকেট হারায় বাংলাদেশ। ফিরে যান লিটন দাস (১৭), সাব্বির রহমান (১) ও নাসির হোসেন (০)। এরপর মাহমুদ উল্লা ও মাশরাফি বিন মুর্তজা দ্রুত রান তুলেছেন। মাশরাফি ১৬ রান করেছেন। মাহমুদ উল্লা ৪০ বলে ৫২ রান করে শেষ ওভারে আউট হয়েছেন।