Sat. May 3rd, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

15খোলা বাজার২৪ ॥বৃহস্পতিবার, ১২ নভেম্বর ২০১৫: বিমান বাহিনীর কক্সবাজার এয়ার ডিফেন্স রাডার উদ্বোধন করেছেন সশস্ত্রবাহিনীর সর্বাধিনায়ক রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।
কক্সবাজারের কলাতলী এলাকায় বিমানবাহিনীর ঘাঁটি কক্সবাজারে এ রাডার উদ্বোধন করেন তিনি।
ওয়াইএলসি-৬ রাডার উদ্বোধন করে রাষ্ট্রপতি বলেন, “বর্তমান সরকার এই বাহিনীর সাংগঠনিক উন্নয়ন এবং পেশাগত নৈপুণ্য বৃদ্ধির জন্য যুদ্ধবিমান ও প্রয়োজনীয় যুদ্ধ উপকরণ সংযোজনের প্রক্রিয়া অব্যাহত রেখেছে। আধুনিকায়নের ধারাবাহিকতায় কক্সবাজারে আজকের এই রাডার সংযোজনের মাধ্যমে বাংলাদেশ বিমানবাহিনী দেশ ও জাতির অগ্রগতি ও নিরাপত্তায় আরও সক্রিয় অবদান রাখতে সক্ষম হবে।”
বিমান বাহিনীর রাডারটি সমুদ্র অঞ্চল তথা সমগ্র মহীসোপান এলাকার বিমানগুলোকে সঠিক তথ্য দেবে এবং একই সঙ্গে চলমান বিমানগুলোকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে সক্ষম হবে।
রাষ্ট্রপতি বলেন, “বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর কার্যক্রমের পরিধি আজ দেশের গণ্ডি পেরিয়ে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে বিস্তৃত। বিমানবাহিনীর স্বাভাবিক কার্যক্রম পরিচালনায় পেশাদারিত্বের পাশাপাশি জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনে বিমান বাহিনীর সদস্যদের কর্তব্যনিষ্ঠা ও দক্ষতার জন্য বিশ্ব নেতৃবৃন্দের প্রশংসা পেয়েছে।”
বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর গৌরবময় ইতিহাস তুলে ধরতে গিয়ে তিনি বলেন, “১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় এ বাহিনীর সদস্যরা প্রয়োজনীয় যুদ্ধ উপকরণ ছাড়াই শুধু একটি অ্যালুয়েট হেলিকপ্টার, একটি ডিসি-৩ ও একটি অটার বিমান নিয়ে যাত্রা শুরু করে।”
একাত্তরে দুঃসাহসিক বৈমানিকদের বাংলার আকাশসীমায় প্রবেশ করে শত্রুর উপর সফল আক্রমণের কথাও আসে মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক আবদুল হামিদের কথায়।
“উন্নত ও সর্বাধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহারের মাধ্যমে আপনাদের গড়ে উঠতে হবে একজন দক্ষ বৈমানিক, প্রকৌশলী, কন্ট্রোলার ও আদর্শ বিমান সেনা হিসেবে। এজন্য প্রয়োজন উন্নত প্রশিক্ষণ, কঠোর পরিশ্রম ও প্রতিটি ক্ষেত্রে কঠোরভাবে শৃঙ্খলা মেনে চলা।”
এ সময় রাষ্ট্রপতিকে বিমানবাহিনীর পক্ষ থেকে রাডারটির অপারেশন কার্যক্ষমতা দেখানো হয়।
রাষ্ট্রপতি বেলা সাড়ে ১১টার দিকে হেলিকপ্টারে চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজারে পৌঁছালে বিমানবাহিনীর প্রধান এয়ার মার্শাল আবু এসরার এবং কক্সবাজার ঘাঁটির অধিনায়ক এয়ার কমডোর মো. পারভেজ ইসলাম তাকে স্বাগত জানান। এসময় বিমানসেনারা রাষ্ট্রপতিকে গার্ড অব অনার দেয়।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মন্ত্রিপরিষদের সদস্য, নৌবাহিনী প্রধান, সংসদ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠান শেষে হেলিকপ্টার যোগে ঢাকায় ফিরে যান রাষ্ট্রপতি।