Fri. Jun 20th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

11খোলা বাজার২৪ ॥ শুক্রবার, ১৩ নভেম্বর ২০১৫: মহিলা অনুগামীদের ধর্ষণ ও শারীরিক নির্যাতন এবং একমাত্র কন্যা সন্তানকে অবৈধ ভাবে সারা জীবন বন্দি রাখার দায়ে অভিযুক্ত ব্রিটেন প্রবাসী বর্ষীয়ান মাওবাদী নেতা অরবিন্দন বালাকৃষ্ণণ।
ধর্ষণ-সহ একাধিক অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে ইংল্যান্ডের এনফিল্ড অঞ্চলের ল্যাটিমার রোডের বাসিন্দা বছর পঁচাত্তরের বালাকৃষ্ণণকে। অভিযোগ, নিজের অনুগামী দুই মহিলাকে একাধিক বার ধর্ষণ ও যৌন নিগ্রহ করেন তিনি। এমনকি নিজের একমাত্র মেয়েকেও আজীবন জোর করে বন্দি রাখার অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে।
৭০-এর দশকে ব্রিক্সটন কমিউনিস্ট মতাদর্শের উপর ভিত্তি করে ওয়ার্কার্স ইনস্টিটিউট নামে একটি সংগঠন গড়ে তোলেন সুবক্তা হিসাবে পরিচিত বালাকৃষ্ণণ। সংগঠনের রীতি মেনে নিজের বাড়ি ছেড়ে সপরিবারে কমিউনে বাস করা শুরু করেন তিনি। তাঁর স্ত্রী-ও একই সংগঠনের সদস্য ছিলেন।একমাত্র কন্যা সন্তানও তাঁদের সঙ্গে ওই যৌথ আবাসেও থাকত। এছাড়া ওই আবাসনে বাস করতেন বালাকৃষ্ণণের বেশ কয়েকজন অনুগামী যাঁদের মধ্যে বেশ কয়েকজন মহিলা ছিলেন।
অভিযোগ, ১৯৮০ সাল থেকে নাগাড়ে ১২ বছর দুই মহিলা অনুগামীকে ধর্ষণ এবং যৌন নিগ্রহ করেন ওই মাওবাদী নেতা। এঁদের মধ্যে একজনকে অন্তত ৭ বার ধর্ষণ করা হয়। শুধু তাই নয়, নিজের একমাত্র কন্যা সন্তানকে টানা ৩০ বছর বন্দি করে রেখেছিলেন বালাকৃষ্ণণ। জানা গিয়েছে, মেয়েকে ভয় দেখিয়ে এবং শারীরিক নির্যাতন করে কখনও কমিউনের বাইরে বের হতে দিতেন না তিনি। গোটা কমিউনের পরিবেশ নিজের মর্জি মাফিক নিয়ন্ত্রণ করতেন দুঁদে নেতা।
ব্রিটিশ আদালতে বালাকৃষ্ণণের বিরুদ্ধে ধর্ষণ, যৌন নিপীড়ন, মানসিক নির্যাতন, শিশু নিগ্রহ, শিশু অপহরণ সহ একাধিক অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার লন্ডনের সাউথওয়ার্ক ক্রাউন কোর্টে সরকারি কৌঁসুলি রোজিনা কটেজ কিউসি জুররদের জানান, ভয় দেখিয়ে, মারধর এবং নানা মানসিক অত্যাচার করে মেয়েকে কোনও দিন স্কুলে পাঠাননি বালাকৃষ্ণণ, কখনও কোনও চিকিৎ‍সকের কাছে নিয়ে যাননি বা কোনও বহিরাগতের সঙ্গে মিশতে দেননি। এই ভাবে নাগাড়ে ৩০ বছর পর কমিউন ছেড়ে চলে যাওয়ার পর ওই যুবতী আপাতত কঠিন ডায়াবেটিস রোগে ভুগছেন।
ধর্ষণ করার পরেও কমিউন ছেড়ে যেতে পারেননি দুই নিগৃহীতা বালাকৃষ্ণণ অনুগামী। অভিযোগ, তাঁদের উপর প্রভাব বিস্তার করে দুই যুবতীকে ইচ্ছা মতো যৌন অত্যাচার করে চলেন মাওবাদী নেতা। কমিউনের বাসিন্দাদের দস্তুরমতো মগজধোলাই করে নিজের যৌনসুখ মেটান তিনি।