Fri. May 2nd, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

62খোলা বাজার২৪ ॥ শুক্রবার, ১৩ নভেম্বর ২০১৫: আলাপ ফেসবুকে। ২ বছর ফোনে কথার পর আলাপ। অবশেষে একদিন দেখা করার প্ল্যান হল। প্রেমিকাকে ‘প্রেমিক’এর একমাত্র শর্ত ছিল, দেখা হবে। কিন্তু চাক্ষুষ দেখা করা যাবে না। অর্থাৎ আলাপ করার সময় চোখে কাপড় বেঁধে রাখতে হবে। তেমনটাই হয়েছিল। প্রেমিককে চোখের দেখা দেখেননি প্রেমিকা। আলাপ গড়ায় যৌনমিলন পর্যন্ত। তার সঙ্গে ৯ বার যৌনসংগমে লিপ্ত হয়েছিলেন প্রেমিকা। প্রতিবারই চোখে কাপড় বেঁধে। দশমবার হঠাৎই চোখের কাপড় খুলে ফেলেছিলেন। আর তখনই বেরিয়ে আসে সত্যিটা। তার ‘প্রেমিক’পুরুষ নয়, মহিলা। এতদিন ধরে কৃত্রিম পুরুষাঙ্গের সাহায্যে সংগমে লিপ্ত হয়েছে সে। ঘটনাটি ইংল্যান্ডের চেশায়ারারের উইলাস্টনের। আর এমন একটি অপরাধের জন্য গেইল নিউল্যান্ড (২৫) নামে অভিযুক্ত ‘কীর্তিমান’মহিলাকে ৮ বছরের কারাদণ্ডের সাজা দিয়েছে আদালত।
জানা গেছে, ২০১১ সালে নিউল্যান্ড এক পুরুষের নামে ভুয়ো ফেসবুক অ্যাকাউন্ট খোলে। এরপর সে তার বান্ধবী ওই মহিলার সঙ্গে কথা শুরু করে। ধীরে ধীরে ফোন নম্বর আদানপ্রদান এবং তার পরের ২ বছর টেলিফোনেই গলা ভারী করে পুরুষালি কণ্ঠে প্রেম চালিয়ে গিয়েছিল নিউল্যান্ড। যা ঘুণাক্ষরেও টের পাননি ওই মহিলা। ২০১৩ সালে দেখা হয় ২ জনের। কিন্তু, নিউল্যান্ড আগে থেকেই ওই মহিলাকে জানিয়েছিল চোখে কাপড় বেঁধে রাখতে। কারণ হিসেবে সে বলেছিল, মস্তিষ্কে অস্ত্রোপচারের ফলে সে সৌম্যদর্শী নয়। কুৎসিত মুখমণ্ডল সে প্রেমিকাকে দেখাতে চায় না। তরুণীর অভিযোগ, চোখ বেঁধেই প্রথম দেখা হয় তাদের। শারীরিক সম্পর্কে লিপ্তও হন। এরপর আরও ন’বার ওই ‘প্রেমিক’ এর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন তিনি। শেষবার সব ধরা পড়ে যায়। মহিলা জানিয়েছেন, স্তন ঢাকতে নিউল্যান্ড ব্যান্ডেজ বেঁধে রাখত।
যদিও নিউল্যান্ড দাবি করে, প্রথম থেকেই পুরো ঘটনাটি জানা ছিল তার বন্ধুর। এমনকী, চোখ বাঁধার কোনও ঘটনা ঘটেনি বলেও দাবি ছিল তার। পুলিশি জেরায় গেইল নিউল্যান্ড জানিয়েছিল, তথাকথিত বিপরীত যৌন আকর্ষণ তাদের ছিল না। তাই এই পথ অবলম্বন করা হয়। যদিও, আদালত তার এই দাবি খারিজ করে ৮ বছরের জন্য শ্রীঘরে পাঠিয়েছে তাকে।