কামরুল হাসান, ঠাকুরগাঁও ॥ শুক্রবার, ১৩ নভেম্বর ২০১৫: ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জে বিয়ের প্রলোভনে দৈহিক সম্পর্ক গড়ে তোলে এক বাক প্রতিবন্ধীকে ৪ মাসে অন্তঃসত্তা বানিয়ে বিয়ে করতে টালবাহনা করার অভিযোগে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের দপ্তর হতে প্রেরিত দরখাস্ত ১২ দিনেও আমলে নেয়নি থানা পুলিশ। অভিযোগ উঠেছে ধর্ষক প্রভাবশালী হওয়ায় পুলিশ বিষয়টি আপোষ মিমাংসা করার জন্য উল্টো ওই প্রতিবন্ধী পরিবারকে চাপ দিচ্ছে।
পীরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসারের দপ্তরে দায়ের করা অভিযোগ ও এলাকাবাসি জানান, পীরগঞ্জ উপজেলার উত্তর ভেলাতৈড় গ্রামের বুধু মোহাম্মদের ২৭ বছর বয়সী বাক প্রতিবন্ধী কন্যাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে দৈহিক সম্পর্ক গড়ে তোলে একই এলাকার মৃত তজিবউদীন এর ছেলে দবিরুল ইসলাম(৩২)। এতে ওই প্রতিবন্ধী অস্তঃসত্তা হয়ে পড়লে বিষয়টি ফাস হয়ে যায়। পরে ধর্ষক ওই প্রতিবন্ধীকে বিয়ে না করে টালবাহনা করতে থাকে। এ নিয়ে গত ১০ অক্টোবর স্থানীয় ভাবে এক শালিস বৈঠক বসে। এতে ইউপি সদস্য মোক্তারুল ইসলাম ধর্ষক দবিরুলকে ২ লাখ ৭০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। কিন্তু এতে ঐ প্রতিবন্ধীর পরিবার রাজি হয়নি। তারা বিয়ের দাবি জানায়। এক পর্যায়ে অমিমাংশিত অবস্থায় শেষ হয় বৈঠক। পরে ২০ অক্টোবর প্রতিবন্ধীর পিতা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট লিখিত আবেদন করেন, যার স্বারক নং ১৪২০। উপজেলা নির্বাহী অফিসারের দপ্তর হতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য আবেদন পত্রটি গত ২৯ অক্টোবর থানায় প্রেরণ করা হয়। থানা পুলিশ ১ নভেম্বর তা গ্রহণ করেন। অভিযোগ গ্রহনের ১২ দিন পেরিয়ে গেলেও কোন ব্যবস্থা নেয়নি পুলিশ। এদিকে অভিযোগ উঠেছে ধর্ষক প্রভাবশালী হওয়ায় উপজেলা নির্বাহী অফিসারের দপ্তর হতে অভিযোগটি পাঠানো হলেও পুলিশের কাছে তা গুরুত্ব পাচ্ছে না।
প্রতিবন্ধীর পিতা জানায়, টাল বাহনা করতে করতে তার অসহায় কন্যা এখন ৪ মাসের অস্তঃসত্তা। এখন এ মেয়েটাকে নিয়ে কি করি। এ বিষয়ে পীরগঞ্জ থানার ওসি(তদন্ত) ওয়াহেদ আলী জানান, অভিযোগটি মশিবুর দারোগার কাছে আছে। কি অবস্থা তা এই মুহুতে জানা নাই। মশিবুরের সাথে বাদীকে যোগাযোগ করার পরামর্শ দেন তিনি।