খোলা বাজার২৪ ॥ শনিবার, ১৪ নভেম্বর ২০১৫:আজীবন আপোষহীন, সাম্রাজ্যবাদ-আধিপত্যবাদ বিরোধী সংগ্রাম আর জাতীয়তাবাদী ও গনতান্ত্রিক আন্দোলনের মহান সাধক উপমহাদেশের নির্যাতিত-নিপিড়িত মানুষের অধিকার আদায়ের বলিষ্ঠ কন্ঠস্বর মজলুম জননেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী অভিমত প্রকাশ করে বাংলাদেশ ন্যাপ‘র সম্পাদকমন্ডলীর সভায় আগামী ১৭ নভেম্বর ২০১৫ যথাযোগ্য মর্যাদায় মওলানা ভাসানীর ৩৯তম মৃত্যুবার্ষিকী পালনের জন্য দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানানো হয়।
সভায় মওলানা ভাসানীর মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে দলের পক্ষ থেকে গ্রহন করা হয়। কর্মসূচীগুলো হলো ঃ- ১৬ নভেম্বর ঢাকা মহানগরসহ সকল মহানগরগুলোর উদ্দ্যোগে আলোচনা সভা, ১৭ নভেম্বর সন্তোষে মওলানা ভাসানীর মাজার জিয়ারত, ঢাকায় ফটোজর্œানালিস্ট এসোসিয়েশন মিলনায়তনে মওলানা ভাসানীর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন ও স্মরণ সভা, ১৮ নভেম্বর প্রত্যেক জেলায় জেলায় আলোচনা সভা।
আজ শনিবার সকালে নয়াপল্টনস্থ যাদু মিয়া মিলনায়তনে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ‘এর সম্পাদকমন্ডলীর সভায় ন্যাপ মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া‘র সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন ন্যাপ যুগ্ম মহাসচিব স্বপন কুমার সাহা, নগর আহ্বায়ক সৈয়দ শাহজাহান সাজু, সদস্য সচিব মোঃ শহীদুননবী ডাবলু, কেন্দ্রীয় সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য মোঃ নুরুল আমান চৌধুরী, আহসান হাবিব খাজা, মোঃ কামাল ভুইয়া, মতিয়ারা চৌধুরী মিনু, মোঃ আনছার রহমান শিকদার, মোঃ আবদুল কাইয়ূম মাহমুদ, সহ-সম্পাদক মোঃ আনোয়ার হোসেন, আবদুল্লাহ আল-মাসুম প্রমুখ।
সভায় মজলুম জননেতা মওলানা ভাসানীর অমর স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে অভিমত প্রকাশ করা হয় যে, একজন স্রষ্টা, কর্মযোগী ও চীর বিদ্রোহী রাজনীতিকের নাম মওলনা ভাসানী। রাজনীতি আর সংগ্রামের মাধ্যমে একটি জাতিকে জাগিয়ে তোলেন যিনি, তিনিই ভাসানী। ঔপনিবেশিক শক্তির বিরুদ্ধে এক প্রবলপ্রাণ বিদ্রোহীর নাম মওলানা ভাসানী। মানবতার তূর্যবাদক এক সেনানির নাম ভাসানী, অসাম্প্রদায়িক চেতনার এক সংহত রূপের নাম ভাসানী। স্বাধীনতা-মুক্তির জন্য দেশবাসীকে জাগিয়েছেন যিনি, মানবতার পক্ষে দাঁড়িয়েছেন যিনি আর সাম্প্রদায়িক শক্তির বিপক্ষে আন্দোলন-সংগ্রামে নেতৃত্ব দিয়েছেন যিনি-তিনিই ভাসানী।
সভায় আরো অভিমত প্রকাশ করা হয় যে, দেশে চরম অস্থিরতা বিরাজ করছে। গণতান্ত্রহীন বাংলাদেশকে এখন কারাগারে পরিনত করা হচ্ছে। সরকার আইন-শৃংখলা বাহিনীকে প্রতিনিয়ত বিরোধী দল দমনে ব্যস্থ রাখা হচ্ছে। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়সহ বিরোধী দলের হাজার হাজার নেতা-কর্মীকে কারাগারের প্রেরন করে দেশটাকে রাজনীতি শূণ্য করার পক্রিয়া চলছে।