Sun. May 4th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

49খোলা বাজার২৪ ॥ রবিবার, ১৫ নভেম্বর ২০১৫: মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) বিরুদ্ধে হামলা বৃদ্ধির আহ্বান জানিয়েছেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। শনিবার ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ফ্রাঁসোয়া ওলাঁদের সঙ্গে টেলিফোনে আলাপকালে জিনপিং এ আহ্বান জানান। জিনপিংয়ের এ আহ্বানের পর ইরাক এবং সিরিয়ায় জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের বিরুদ্ধে চীনের যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা বৃদ্ধি পেয়েছে।
শুক্রবার সন্ধ্যায় প্যারিসের ছয়টি স্থানে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলায় ১২৯ জনের প্রাণহানির পর শনিবার চীনের প্রেসিডেন্ট ফোন করে ফ্রাঁসোয়া ওলাঁদের সঙ্গে আলাপ করেন। এ সময় তিনি নিহতদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও ফ্রান্সের পাশে থাকার কথা জানান।
চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র হং লি বলেন, মানবতার বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদ একটি চ্যালেঞ্জ। ফ্রান্সের জাতীয় নিরাপত্তা, স্থিতিশীলতা ও সন্ত্রাসী হামলার বিরুদ্ধে যেকোনো ধরনের পদক্ষেপে পাশে থাকবে চীন। শুক্রবার প্যারিসে ভয়াবহ হামলায় চীনের কোনো নাগরিক হতাহত হয়নি বলেও জানান তিনি।
চীনা প্রেসিডেন্টের ওই বক্তব্যের পর বিশ্লেষকরা বলছেন, আইএসের বিরুদ্ধে হামলা চালাতে চীনের যে প্রস্তুতি রয়েছে সে বিষয়েই ইঙ্গিত দিলেন শি জিনপিং।
ঢ়ধৎরং
এদিকে প্যারিসে ভয়াবহ হামলার ঘটনায় জড়িত একজনের নাম প্রকাশ করা হয়েছে। দেশটির গণমাধ্যমে ওই হামলাকারীর নাম ওমর ইসমাইল মোস্তাফি বলে উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়া কনসার্ট স্থলে সিরিয়ার একটি পাসপোর্ট পাওয়া গেছে। ফলে সিরিয়ান শরণার্থীরা হামলায় জড়িত থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
গত সেপ্টেম্বর থেকে সিরিয়ায় ইসলামিক স্টেট জঙ্গি ও অন্যান্য বিদ্রোহীদের অবস্থান লক্ষ্য করে বিমান হামলা শুরু করেছে রাশিয়া। কিন্তু তার আগে থেকেই আইএসের বিরুদ্ধে সিরিয়ায় হামলা চালিয়ে আসছে মার্কিন নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট ন্যাটো।
সিরিয়ায় রুশ হামলার বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অভিযোগ, আইএস নয়, দেশটির প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদকে ক্ষমতায় টিকিয়ে রাখতে বিরোধীদের দমনে হামলা চালাচ্ছে মস্কো। তবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এ অভিযোগকে নাকচ করে দিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
তিনি বলেছেন, রাশিয়া শুধুমাত্র আইএস জঙ্গিদের বিরুদ্ধে হামলা চালাচ্ছে। আইএস ছাড়া অন্য কোনো গোষ্ঠী মস্কোর হামলার লক্ষ্য নয়। সিরিয়ায় গত সাড়ে চার বছরের গৃহযুদ্ধে এখন পর্যন্ত আড়াই লাখ মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে। এছাড়া গৃহহীন হয়ে পড়েছে আরো অন্তত বিশ লাখ মানুষ।