Sat. May 3rd, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

85খোলা বাজার২৪ ॥ রবিবার, ১৫ নভেম্বর ২০১৫: এনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার লন্ডন অবস্থানের দুই মাস পূর্ণ হয়েছে আজ রোববার। তবে দেশে কবে ফিরবেন তা নিশ্চিত না হলেও ২০ নভেম্বর তিনি বাংলাদেশের উদ্দেশে রওনা হবেন বলেও বিএনপির এক নেতা দাবি করেছেন।
গত ১৬ সেপ্টেম্বর খালেদা জিয়া ব্যক্তিগত সফরে লন্ডন পৌঁছান। ১৫ সেপ্টেম্বর তিনি লন্ডনের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়েন। সেখানে তিন সপ্তাহ অবস্থান শেষে তাঁর দেশে ফেরার কথা থাকলেও ইতিমধ্যে তা কয়েক দফা পেছানো হয়েছে। ব্যক্তিগত এই সফরে খালেদা তাঁর বড় ছেলে বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বাসায় অবস্থান করছেন। ছোট ছেলে প্রয়াত আরাফাত রহমানের স্ত্রী এবং দুই কন্যাও সেখানে রয়েছেন।
লন্ডন অবস্থানরত বিএনপির একাধিক নেতার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, খালেদা জিয়া আপাতত ২০ নভেম্বরের আগে দেশে ফিরছেন না, এটা নিশ্চিত। অপর এক নেতা প্রথম আলোকে বলেন, ২০ নভেম্বর খালেদার বড় ছেলে তারেক রহমানের জন্মদিন। পরিবারের চাপাচাপিতে তিনি ছেলের জন্মদিন পালনের জন্য ফেরার সময় বিলম্বিত করেছেন। তবে ২৫ নভেম্বরের মধ্যেই তিনি দেশে ফিরবেন।
এদিকে বিএনপির অপর এক নেতা দাবি করেন, ২০ নভেম্বরই খালেদা জিয়া দেশের উদ্দেশে রওনা দেবেন। পরদিন তিনি দেশে পৌঁছাবেন। ২০ তারিখের জন্য তাঁর ফেরার টিকিট কনফার্ম করা আছে বলেও দাবি করেন তিনি।
দীর্ঘ দুই মাস অবস্থানকালে খালেদা জিয়া একান্ত পারিবারিকভাবেই সময় পার করেছেন। এ সময়ে তিনি তাঁর এক চোখের ক্যাটারাক্ট অপারেশন এবং হাঁটুর চিকিৎসা করিয়েছেন। লন্ডনে আসার এক সপ্তাহের মাথায় খালেদা জিয়া গত ২৪ সেপ্টেম্বর যুক্তরাজ্যপ্রবাসীদের সঙ্গে একটি ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে হাজির হন। এরপর গত ১ নভেম্বর যুক্তরাজ্য বিএনপি আয়োজিত একটি নাগরিক সভায় বক্তব্য দেন তিনি। সভায় খালেদা জিয়া বলেন, তাঁর পরিবারের লোকেরা তাঁকে যেতে দিতে চায় না। ওরা চায় তিনি আরও কিছুদিন তাদের সঙ্গে সময় কাটান। কিন্তু দেশের যে অবস্থা তাঁকে দ্রুত দেশে ফিরতেই হবে। তিনি সেদিন আগের চাইতে বেশ সুস্থ এবং ভালো আছেন বলে জানিয়েছিলেন। এ ছাড়া খালেদা জিয়া অন্য কোনো আনুষ্ঠানিক রাজনৈতিক কর্মসূচিতে অংশ নেননি।
যুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপতি এম এ মালেক বলেন, ছোট ছেলে আরাফাত রহমান মারা যাওয়ার পর বড় ছেলে তারেক রহমানের সঙ্গে খালেদার এই সফরে প্রথম সাক্ষাৎ হয়েছে। তাঁর ছোট ছেলের পরিবারও এখানে বসবাস করছেন। ফলে বেশ কয়েক বছর পর তিনি পরিবারের সবাইকে এক সঙ্গে পেয়েছেন। স্বাভাবিকভাবে তাঁর পরিবার তাঁকে ছাড়তে চাইছেন না। কিন্তু বাংলাদেশের মানুষ তাঁর জন্য অপেক্ষা করছে। তাই তিনি খুব শিগগিরই দেশে ফিরবেন।