খোলা বাজার২৪ ॥ সোমবার, ১৬ নভেম্বর ২০১৫ : মোবাইলে এসএমএস পাঠিয়ে অধ্যাপক আনিসুজ্জমানকে যে হত্যার হুমকি দিয়েছিল, তাকে শনাক্ত করার কথা জানিয়েছেন পুলিশ মহাপরিদর্শক এ কে এম শহীদুল হক।
সোমবার পুলিশ সদর দপ্তরে এক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, অধ্যাপক আনিসুজ্জামানকে যে নম্বর থেকে হুমকি দেওয়া হয়েছিল, তার মালিককে আটক করেছিল পুলিশ। পরে তদন্তে দেখা যায়, ওই ব্যক্তি ‘নির্দোষ’। তার নম্বর ‘ক্লোন করে’ আরেকজন ওই হুমকি দিয়েছে।
“ওই ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। যে ব্যক্তি হুমকি দিয়েছিল তাকেও আমরা শনাক্ত করে ফেলেছি। তবে এখনো গ্রেপ্তার করতে পারিনি।”
বিশেষ সফটওয়্যার ব্যবহার করে কোনো নির্দিষ্ট মোবাইল সিমের তথ্য চুরি করার পর ওই নম্বর ব্যবহার করাকে বলা হয় সিম ক্লোন করা। এভাবে বিভিন্ন অপরাধ ঘটানোর অভিযোগ এর আগেও গণমাধ্যমে এসেছে।
তবে অধ্যাপক আনিসুজ্জমানের ক্ষেত্রে ঠিক কী ঘটেছে, তা বিস্তারিতভাবে বলেননি শহীদুল হক।
গত ১০ নভেম্বর মোবাইল এসএমএসে হত্যার হুমকি পান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এমেরিটাস অধ্যাপক আনিসুজ্জামান। সেখানে বলা হয়, ব্লগারদের পক্ষে দাঁড়ালে তাকে চাপাতির আঘাতে মরতে হবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের সাবেক অধ্যাপক আনিসুজ্জামান অসাম্প্রদায়িক চেতনায় লেখালেখিতে সব সময় সক্রিয়। হুমকি পাওয়ার পর ওইদিনই গুলশান থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন তিনি।
হুমকিদাতার সঙ্গে জঙ্গিদের সংশ্লিষ্টতা আছে কিনা জানতে চাইলে আইজিপি শহীদুল বলেন, “সেটা আমরা তদন্ত করে দেখছি। তবে সে ফান্ডামেন্টালিস্ট।”
চলতি বছরের ফেব্র“য়ারি থেকে চারজন লেখক ও অনলাইন অ্যাকটিভিস্ট খুন হওয়ার পর সম্প্রতি এক প্রকাশককেও হামলা চালিয়ে হত্যা করা হয়। প্রতিটি হত্যাকাণ্ডই ঘটানো হয় চাপাতির আঘাতে। এসব হত্যাকাণ্ডে জঙ্গিদের সংশ্লিষ্টতার কথা পুলিশের তদন্তেও এসেছে।
সর্বশেষ রোববার বিকালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক কথাসাহিত্যিক হাসান আজিজুল হক টেলিফোনে হুমকি পাওয়ার কথা জানিয়েছেন।
সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার আগে দুর্ঘটনা ও দুর্বৃত্তের হামলায় নিহত ১৪ পুলিশ সদস্যের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা দেওয়ার এক অনুষ্ঠানে অংশ নেন পুলিশ প্রধান।
অনুষ্ঠানে আইজিপির বিশেষ তহবিল থেকে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে ৬১ লাখ টাকা দেওয়া হয়।