খোলা বাজার২৪ ॥ সোমবার, ১৬ নভেম্বর ২০১৫ : বান্ধবীকে বিয়ের করার উদ্দেশ্যে প্রথমে নিজেকে ছেলে দাবি করে মেয়েটি। পরবর্তিতে মেয়েটিকে রাজি করিয়ে পারিবারিকভাবে বিয়ে করে সে। বাসর রাতে তার স্ত্রীকে জানায় যে, সে এখনো পরিপুর্নভাবে ছেলে হইনায় তার আরও কমপক্ষে পাঁচ বছর সময় লাগবে।রসধমব
অবশেষে দশ মাস পর মেয়েটি তার স্বামীকে পরিক্ষা করে দেখল সে পুরোটায় মেয়েদের মতো অর্থাৎ সে কখনো ছেলে হইনি। শুধুমাত্র তাকে বিয়ে করার জন্য ছেলে হওয়ার মিথ্যা নাটক করেছে।
স্বামী সাজা মেয়েটির নাম ইতি আক্তার (ইদ্রিস আলী) আর স্ত্রী মেয়েটির নাম সাবিনা আক্তার।
গতকাল বুধবার রাতে সাবিনা আকতার তার স্বামী ইদ্রিস আলীকে তালাক দিয়ে ১০ মাসের সংসারের ইতি টানেন। তালাক হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সোনাতলা উপজেলার দিগদাইড় ইউনিয়নের কাজী আব্দুল কাদের।
ইতি আকতার (পরবর্তীতে ইদ্রিস আলী) সোনাতলা উপজেলার দিগদাইড় ইউনিয়নের কোয়ালীপাড়া গ্রামের সোনা মিয়ার মেয়ে। আর সাবিনা আকতার পার্শ্ববর্তী দিঘলকান্দী গ্রামের আমজাদ হোসেনের মেয়ে।
সাবিনা আরো জানায়, তার স্বামী পুরুষ কিনা তা পরীক্ষা করে দেখতে ও প্রতারণার বিচার চেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ দিয়েছিলাম। কিন্তু গত এক মাসেও কোনো সুরাহা হয়নি।
সাবিনা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, এক নারী হয়ে তো অন্য নারীর সঙ্গে সংসার করা যায় না। এ কারণে তাকে তালাক দিয়েছি।
এব্যাপারে সোনাতলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) হিসেবে অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা শিবগঞ্জ ইউএনও আমিনুর রহমান জানান, বিষয়টি তার জানা নেই। সোনাতলার ইউএনও দেশে ফিরলে জানা যাবে।