খোলা বাজার২৪ ॥ সোমবার, ১৬ নভেম্বর ২০১৫ : কদমতলীতে বাসায় ঢুকে মেয়েকে কুপিয়ে হত্যা ও মাকে জখমের ঘটনায় করা মামলার প্রধান আসামি রাব্বিকে (১৬) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ‘মোটা’ বলায় ক্ষোভে রাব্বি এ নৃশংস ঘটনা ঘটায় বলে পুলিশের কাছে স্বীকার করেছে।
কদমতলীর মুরাদনগর থেকে সোমবার সকালে কদমতলী থানা পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে।
কদমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম ওয়াজেদ আলী বলেন, ‘কিশোর রাব্বি ওই হত্যা মামলার মূল আসামি। তার সঙ্গে আরেক সহযোগী ছিল, কিন্তু সে হত্যাকাণ্ডে অংশ নেয়নি। তবে তাকেও আটকের চেষ্টা চলছে।’
রাব্বিকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া তথ্যের বরাত দিয়ে ওসি এম ওয়াজেদ আলী বলেন, ‘নিহত কিশোরী সোহেলী আক্তার (১৪) রাব্বীর প্রতিবেশী ছিল। রাব্বি একটি কুকুর পুষত। নিহত ওই কিশোরী রাব্বিকে মোটা বলে খেপানোর কারণে সে বাসায় ঢুকে তাকে (কিশোরী) ও তার মাকে কুপিয়ে জখম করে। ঘটনাস্থলেই কিশোরী নিহত হয়।’
প্রসঙ্গত, ৩ নভেম্বর কদমতলীতে এ ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায় মেয়ে সোহেলী আক্তার (১৪) ঘটনাস্থলেই নিহত হন। মা শাহিদা মৃধা ডলি (৩৫) ও ছোট মেয়ে সারা আক্তার (৭) গুরুতর জখম হয়।
ওই সময় তাদের বাসার পাশের রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিলেন জালাল আহমেদ (৩৩) নামে এক পথচারী। তাকেও কুপিয়ে আহত করা হয়। পরে আহতদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
কদমতলী থানার পরিদর্শক (অপারেশন) সাইফুল ইসলাম ওই সময় বলেন, কদমতলীর জুরাইন পাটেরবাগের ২ নম্বর গলির একটি বাসার দ্বিতীয় তলায় এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় ও আহতদের বরাত দিয়ে তিনি আরও বলেন, দুই দুর্বৃত্ত এ হামলা চালায়। তারা ধারাল অস্ত্র দিয়ে চারজনকে কুপিয়ে আহত করে। এর মধ্যে সোহেলী আক্তার ঘটনাস্থলেই মারা যায়।
আহত ডলির স্বামীর নাম আব্দুল হান্নান মিয়া। তাদের গ্রামের বাড়ি মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরে।
আব্দুল হান্নানের দুলাভাই রাশেদুল কবির খান বলেন, হান্নান ইতালী প্রবাসী। কিছুদিন আগে সে দেশে আসে। ঘটনার সময় হান্নান বাসার বাইরে ছিল। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে বাসায় এসে দেখে স্ত্রী ও সন্তান রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছে। সেখান থেকে উদ্ধার করে তাদের ঢামেক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।