Sat. May 3rd, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

51খোলা বাজার২৪ ॥ সোমবার, ১৬ নভেম্বর ২০১৫ : মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে লুই আই কান প্রণীত সংসদ ভবনের মূল নকশা আনা হলেই নকশাবিহীন স্থাপনার বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন।
দশম সংসদের অষ্টম অধিবেশনে সোমবার বিকেলে প্রশ্নোত্তর পর্বে সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য বেগম ফজিলাতুন নেসা বাপ্পির এক প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী সংসদকে এ তথ্য জানান।
গৃহায়নমন্ত্রী বলেন, ‘সরকারি নির্দেশনায় বিভিন্ন সময়ে সংসদ ভবন চত্বরে কবর গড়ে তোলা হয়েছে। বর্তমানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় লুই আই কান প্রণীত নকশা পেনসিলভিনিয়া ইউনিভার্সিটি ইউএসএ, আর্কিটেকচারাল আর্কাইভ হতে সংগ্রহের কাজ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।’
মূল নকশা অনুযায়ী সংসদ ভবনটিকে টিকিয়ে রাখার জন্য সরকারের পক্ষে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হবে কি না? প্রশ্নকর্তার এমন প্রশ্নের উত্তরে গৃহায়নমন্ত্রী বলেন, ‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র হতে লুই আই কান প্রণীত মূল নকশা আনা হলে তার আলোকে সংসদ ভবনসহ তদসংলগ্ন এলাকার সকল স্থাপনার সুষ্ঠু সংরক্ষণ এবং সমন্বয় করার বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’
প্রসঙ্গত, বিভিন্ন সরকারের আমলে জাতীয় সংসদ ভবন এলাকায় রাষ্ট্রীয়ভাবে কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিকে কবর দেওয়া হয়। প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কবরসহ এ রকম সাতটি কবর সংসদ ভবন এলাকায় রয়েছে। তারা হলেন- প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি আবদুস সাত্তার, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শাহ আজিজুর রহমান ও আতাউর রহমান খান, প্রাক্তন মন্ত্রী মশিউর রহমান যাদু মিয়া, মুসলিম লীগ নেতা খান এ সবুর, সাহিত্যিক ও সাংবাদিক আবুল মনসুর আহমদ ও পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের স্পিকার তমিজউদ্দীন খান।
এ ছাড়া শেরেবাংলা নগরে লুই আই কানের নকশাবহির্ভূত আরও সাতটি স্থাপনা রয়েছে। এগুলোর মধ্যে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্র (বি আইসিসি), স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকারের বাসভবন, চন্দ্রিমা উদ্যানে জিয়াউর রহমানের কবরের চারদিকে থাকা চারটি প্রবেশপথের শুরু বা শেষ প্রান্তে রয়েছে ঝুলন্ত সেতু, সম্মেলন কেন্দ্র ও মসজিদসহ চারটি স্থাপনা।
এদিকে, সর্বশেষ ২৭ আগস্ট প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী কাজী জাফর আহমদ মারা গেলে তার ইচ্ছা অনুযায়ী সংসদ ভবনের ‘জাতীয় কবরস্থানে’ দাফন করার জন্য জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের কাছে অনুমতি চেয়েছিল তার পরিবার। কিন্তু তাতে সম্মতি দেওয়া হয়নি।
এ ছাড়া জাতীয় সংসদ ভবন সীমানার পূর্ব প্রান্তে আসাদগেটের উল্টো দিকের পেট্রোলপাম্পটি বর্তমানে তুলে দেওয়া হয়েছে। বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সময় তখনকার মন্ত্রী মির্জা আব্বাসের ভাইকে জায়গাটি বরাদ্দ দেওয়া হয়।