খোলা বাজার২৪ ॥মঙ্গলবার, ১৭ নভেম্বর ২০১৫: ফরিদপুর জেলার কাশিমাবাদ গ্রামের জাকিয়া আক্তার চম্পাকে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগে চারজনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
দণ্ডবিধির ৩০২ ধারায় অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আসামি শামিম মণ্ডল, বাবুল হোসেন, জাহিদুল হাসান ও আকাশ মণ্ডলকে মৃত্যুদণ্ড এবং প্রত্যেককে বিশ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এ ছাড়া নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আসামিদের প্রত্যেককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড, এক লাখ টাকা অর্থদণ্ড ও অনাদায়ে তিন বছরের সশ্রম কারাদণ্ডও দেওয়া হয়। মামলার অপর আসামী মৌসুমীকে খালাস দেওয়া হয়েছে।
ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-৪ এর বিচারক আবদুর রহমান মঙ্গলবার এ রায় ঘোষণা করেন। মামলায় বিভিন্ন সময় ৩০ জন সাক্ষ্যপ্রদান করেন।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০১২ সালের ১৩ ডিসেম্বর চম্পাকে তার আত্মীয় পপির গায়ে হলুদের অনুষ্ঠান থেকে আসামিরা ডেকে নিয়ে যায়। চম্পাকে দেখতে না পেয়ে খোঁজাখুঁজি করতে থাকে তার পরিবারের সদস্যরা। এরপর ১৪ ডিসেম্বর ভোর সাড়ে ৬টায় কাশিমাবাদ গ্রামের সোহরাব শেখের মেহগনি বাগানে ঝুলন্ত অবস্থায় চম্পার লাশ পাওয়া যায়। আসামি শামীম মণ্ডল চম্পাকে বিয়ে করতে না পেরে অন্যান্য আসামীর সহায়তায় ধর্ষণের পর হত্যা করে গাছে ঝুলিয়ে রাখে।
এ ঘটনায় ১৫ ডিসেম্বর মো. হাসিবুল ইসলাম বাদী হয়ে ফরিদপুর কোতয়ালী থানায় মামলাটি দায়ের করেন।
২০১৩ সালের ২০ মে কোতয়ালী থানার উপ-পরিদর্শক আবুল খায়ের শেখ আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।