Sun. May 4th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

23খোলা বাজার২৪ ॥মঙ্গলবার, ১৭ নভেম্বর ২০১৫: গণজাগরণ মঞ্চের কর্মী ব্লগার আহমেদ রাজীব হায়দার হত্যা মামলায় সাক্ষ্য গ্রহণ অব্যাহত রয়েছে।
মামলার অন্যতম আসামি সাদমান ইয়াছির মাহমুদের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি গ্রহণকারী হাকিম শাহরিয়ার মাহমুদ আদনান সোমবার সাক্ষ্য দেন।
তাকে নিয়ে মামলার ৫৫ জনের মধ্যে ২৬ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ হল।
মঙ্গলবার রাষ্ট্রপক্ষে পরবর্তী সাক্ষীর সাক্ষ্য নেওয়ার দিন ঠিক করা হয়েছে বলে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান ঢাকার তিন নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে রাষ্ট্রপক্ষের বিশেষ কৌঁসুলি মাহবুবুর রহমান।
মামলার বিচার শেষ করতে আর কতদিন লাগতে পারে- এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “সেটা বলা যাবে না। তবে খুব শিগগির মামলাটি রায়ের পর্যায়ে যাবে, যদি না আসামিপক্ষ কোনো অজুহাতে উচ্চ আদালতে না যান।”
এর আগে গত ১১ নভেম্বর মালিবাগ চৌধুরীপাড়ার মোবাইল ফোন দোকানের মলিক আনোয়ার হোসেন ও কর্মচারী আল আমিন সাক্ষ্য দেন। আসামিরা তার দোকান থেকে চারটি সিম্ফনি মোবাইল ফোন সেট কিনেছিল বলে পুলিশের তদন্তে উঠে এসেছে।
গণজাগরণ আন্দোলন শুরুর ১০ দিনের মধ্যে ২০১৩ সালের ১৫ ফেব্র“য়ারি পল্লবীর কালশীর পলাশনগরে নিজের বাসার সামনে কুপিয়ে হত্যা করা হয় রাজীবকে।
তার বাবা ডা. নাজিম উদ্দীন পল্লবী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
অভিযোগ তদন্ত করে ২০১৪ সালের ২৯ জানুয়ারি ডিবির পরিদর্শক নিবারণ চন্দ্র বর্মণ আটজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
আট আসামি হলেন- নর্থসাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ফয়সাল বিন নাইম ওরফে দিপ (২২), মাকসুদুল হাসান অনিক (২৬), এহসানুর রেজা রুম্মান (২৩), মো. নাঈম সিকদার ওরফে ইরাদ (১৯), নাফির ইমতিয়াজ (২২), সাদমান ইয়াছির মাহমুদ (২০), মুফতি জসীম উদ্দিন রাহমানী ও রেদোয়ানুল আজাদ রানা (৩০)।
আসামিদের মধ্যে রানা পলাতক রয়েছেন। অন্য আসামিরা স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন আনসারুল্লাহ বাংলাটিমের প্রধান মুফতি জসীমসহ সব আসামির বিরুদ্ধে ২০১৫ সালের ১৮ মার্চ অভিযোগ গঠনের পর বিচার শুরু হয়।