খোলা বাজার২৪ ॥মঙ্গলবার, ১৭ নভেম্বর ২০১৫: একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধকালে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মাদ মুজাহিদের ফাঁসির রায় পুনর্বিবেচনার (রিভিউ) আবেদনের ওপর শুনানি শেষ হয়েছে। এ বিষয়ে কাল বুধবার আদেশ দেবেন আদালত।
প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের চার সদস্যের বেঞ্চে আজ মঙ্গলবার এই শুনানি হয়। শুনানি শেষে আদেশের দিন ধার্য করেন আদালত।
সকাল ৯টায় প্রথমে শুনানি করেন আসামিপক্ষের প্রধান আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন। বেলা ১১টার কিছু আগে শেষ হয় তাঁর শুনানি। এরপর রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি শুরু করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।
বেলা ১১টা থেকে সাড়ে ১১টা পর্যন্ত বিরতিতে যান আদালত। বিরতির পর ফের শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল। দুপুর ১২টার কিছু পর এই শুনানি শেষ হলে আদালত বুধবার আদেশের দিন ধার্য করেন।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন কাদের (সাকা) চৌধুরীর ফাঁসির রায় পুনর্বিবেচনার আবেদনও আজ একই বেঞ্চে শুনানির কথা ছিল। কিন্তু মুজাহিদের রিভিউ আবেদন শুনানির পর আদালত বলেছেন ‘নট টুডে’ (আজ নয়)।
চলতি বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর মুজাহিদ ও সাকা চৌধুরীর বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ করেন আপিল বিভাগ। এর ১৪ দিনের মাথায় ওই রায় পুনর্বিবেচনার জন্য আবেদন করেন সাকা চৌধুরী ও মুজাহিদ।
২০ অক্টোবর সুপ্রিম কোর্টের অবকাশকালীন চেম্বার আদালত রায় পুনর্বিবেচনার আবেদন দুটি শুনানির জন্য ২ নভেম্বর তারিখ ধার্য করেছিলেন। পরে সাকা চৌধুরী ও মুজাহিদের আইনজীবীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে শুনানির দিন ১৭ নভেম্বর পুনর্র্নিধারণ করেন আপিল বিভাগ।
১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধকালে বুদ্ধিজীবী হত্যার দায়ে ওই সময়ের আলবদর নেতা মুজাহিদকে ২০১৩ সালের ১৭ জুলাই ফাঁসির আদেশ দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২।
১৯৭১ সালে চট্টগ্রামের বিভিন্ন এলাকায় গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ২০১৩ সালের ১ অক্টোবর সাকা চৌধুরীকে ফাঁসির আদেশ দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১।
ট্রাইব্যুনালের রায়ের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ আদালতে আপিল করেন মুজাহিদ ও সাকা চৌধুরী। আপিলে দুজনেরই মৃত্যুদণ্ডাদেশ বহাল থাকে। এই রায়ের বিরুদ্ধে তাঁরা পুনর্বিবেচনার আবেদন করেছেন।
এর আগে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ২০১৩ সালের ১২ ডিসেম্বর জামায়াতের শীর্ষস্থানীয় নেতা আবদুল কাদের মোল্লার এবং গত ১২ এপ্রিল মুহাম্মদ কামারুজ্জামানের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়। তাঁরা দুজনই রায় পুনর্বিবেচনার আবেদন করেছিলেন।