খোলা বাজার২৪ ॥মঙ্গলবার, ১৭ নভেম্বর ২০১৫: স্বাধীন বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা, সা¤্রাজ্যবাদ ও আধিপত্যবাদ বিরোধী সংগ্রামের মহানায়ক মজলুম জননেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর ৩৯তম মৃত্যুবার্ষিকীতে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ ও মওলানা ভাসানী মৃত্যুবার্ষিকী পালন জাতীয় কমিটির‘র উদ্দ্যোগে ফটোর্জার্নালিস্ট এসোসিয়েশন মিলনায়তনে মজলুম জননেতা মওলানা ভাসানীর অস্থায়ী প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন।
আজ মঙ্গলবার সকালে আয়োজিত শ্রদ্ধা নিবেদন অনুষ্ঠানে সভাপতি শফিউল আলম প্রধান ও সাধারণ সম্পাদক খন্দকার লুৎফর রহমানের নেতৃত্বে জাগপা, চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গাণি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া নেতৃত্বে বাংলাদেশ ন্যাপ, প্রেসিডিয়াম সদস্য মোঃ মঞ্জুর হোসেন ঈসা‘র নেতৃত্বে এনডিপি, ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব এম.এম. আমিনুর রহমানের নেতৃত্বে কল্যাণ পার্টি, যুগ্ম মহাসচিব এ.এস.এম শামিমের নেতৃত্বে জাতীয় পার্টি (জাফর), চেয়ারম্যান এডভোকেট সৈয়দ এহসানুল হুদার নেতৃত্বে জাতীয় দল, নগর সদস্য সচিব মোঃ শহীদুননবী ডাবলু‘র নেতৃত্বে বাংলাদেশ ন্যাপ ঢাকা মহানগর, সভাপতি মফিজুর রহমান লিটনের নেতৃত্বে তৃণমূল নাগরিক আন্দোলন, আহ্বায়ক মতিয়ারা চৌধুরী মিনু ও সদস্য সচিব সোলায়মান সোহেলের নেতৃত্বে ভাসানী সাহিত্য-সাংস্কৃতিক পরিষদ, আবদুল্লাহ আল-কাউছারীর নেতৃত্বে বিপ্লবী শ্রমিক ফেডারেশন, মোঃ কামাল ভুইয়া‘র নেতৃত্বে বাংলাদেশ কৃষক ন্যাপ, বাংলাদেশ যুব ন্যাপ, বাংলাদেশ মহিলা ন্যাপ, বাংলাদেশ জাতীয় ছাত্র কেন্দ্র-সহ বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন মজলুম জননেতা মওলানা ভাসানীর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পনের মাধ্যমে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন।
এসময় নেতৃবৃন্দ বলেছেন, জাতীয় ইতিহাসের বিভিন্ন স্তরে, বিভিন্ন সময়ে মানব সমাজ আর রাষ্ট্রের প্রয়োজনে বিভিন্ন প্রতিভার জন্ম হয়। মজলুম জননেতা মওলানা ভাসানীর আবির্ভাবও এমন একটি ঐতিহাসিক পটভূমিতে সমাজ আর রাষ্ট্রের প্রয়োজনে। নেতৃবৃন্দ বলেছেন, মওলানা ভাসানী আজীবন দেশের জন্য-মানুষের জন্য লড়াই করেছেন, সংগ্রাম করেছেন, কথা বলেছেন। দেশ ও জাতির কল্যাণ ছাড়া তাঁর মাথায় অন্যকিছু ছিল না। তিনি আজীবন সংগ্রাম প্রিয় মানুষ ছিলেন। তার দেশপ্রেম জাতিকে মুগ্ধ করেছিল। আজ দেশে গণতন্ত্র ও জনগনের অধিকার বলতে কিছু নেই। চারদিকে ভয়-ভীতি আর দুঃশাসনের মধ্যে আমাদের প্রতিটি মুহুর্ত কাটাতে হচ্ছে। জাতিকে এখান থেকে মুক্ত করতে হলে মওলানা ভাসানীর মত দেশপ্রেমিক ও সাহসী নাগরিক হতে হবে। এক কথায় মওলানা ভাসানী ছিলেন দুঃসাহসী ও চিরবিদ্রোহী রাজনীতিবিদ। তারা বলেন, মওলানা ভাসানীর মত আজীবন সংগ্রামী, দেশপ্রেমিক জাতীয় নেতাকে আমরা যথাযথ সম্মান দিতে পারি নাই। জাতি হিসাবে এটি আমাদের জন্য লজ্জার। মওলানা ভাসানী একজন আদর্শ রাজনীতিক। তার সংগ্রামী জীবন, বিদ্রোহী চেতনা ঘুমঘোরে আচ্ছন্ন জাতিকে অধিকার আদায়ের অনুপ্রেরনা যোগায়।