খোলা বাজার২৪ ॥ বুধবার, ১৮ নভেম্বর ২০১৫: যুদ্ধাপরাধী আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ ও সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর ফাঁসির রায় পুনর্বিবেচনার (রিভিউ) আবেদন খারিজ করে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।
এর ফলে একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মুজাহিদ ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সাকা চৌধুরীর দণ্ড কার্যকরে আর আইনি বাধা থাকল না।
নিয়ম অনুযায়ী তারা এখন কেবল নিজেদের কৃতকর্মের জন্য অনুতাপ প্রকাশ করে রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা চাইতে পারবেন। এ বিষয়টির নিষ্পত্তি হলে সরকার দণ্ড কার্যকর করবে।
প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহার নেতৃত্বে চার সদস্যের আপিল বেঞ্চ বুধবার এক মিনিটের ব্যবধানে দুই রিভিউ আবেদনের রায় ঘোষণা করে। দুই ক্ষেত্রেই প্রধান বিচারপতি শুধু বলেন, “ডিসমিসড”।
মঙ্গলবার মুজাহিদের আবেদনের ওপর প্রায় তিন ঘণ্টা শুনানি হয়। আর বুধবার সকাল থেকে সাকা চৌধুরীর আবেদনের ওপর শুনানি হয় প্রায় দেড় ঘণ্টা।
দুই শুনানিতেই আসামিপক্ষে যুক্ত তুলে ধরেন খন্দকার মাহবুব হোসেন, যিনি বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের একজন সদস্য। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে যুক্ত উপস্থাপন করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।
আদেশের পর অ্যাটর্নি জেনারেল সাংবাদিকদের বলেন, “দণ্ড কার্যকরে এখন আর কোনো আইনি বাধা নেই। কারা কর্তৃপক্ষ সরকারের সিদ্ধান্তে সাজা কার্যকর করবে। অবশ্য ক্ষমা প্রার্থণা করলে আলাদা বিষয়।”
আপিল বিভাগের এই বেঞ্চ গত ১৬ জুন একাত্তরের বদর প্রধান মুজাহিদের আপিলের রায় ঘোষণা করে। মুক্তিযুদ্ধকালীন চট্টগ্রামের ত্রাস সালাউদ্দিন কাদেরের আপিলের রায় আসে ২৯ জুলাই।
বেঞ্চের অপর সদস্যরা হলেন বিচারপতি মো. আবদুল ওয়াহহাব মিঞা, বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী ও বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী।
দুই আপিলের রায়েই আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের দেওয়া ফাঁসির রায় বহাল থাকে। তাদের আপিলের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হয় একই দিনে, ৩০ সেপ্টেম্বর।
এরপর নিয়ম অনুযায়ী ট্রাইব্যুনাল দুজনের মৃত্যু পরোয়ানা জারি করে কারা কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠায়। ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে মুজাহিদকে এবং গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগারে থাকা সালাউদ্দিন কাদেরকে সেই মৃত্যু পরোয়ানা ১ অক্টোবর পড়ে শোনানো হয়।