Sun. May 4th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

খোলা বাজাimagesর২৪ ॥ বুধবার, ১৮ নভেম্বর ২০১৫: দিনাজপুরে ইতালীয় নাগরিক পিয়েরো পারোলারির ওপর দুর্বৃত্তের হামলার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বিএনপি। বুধবার রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির মুখপাত্র ও আন্তর্জাতিক সম্পাদক ড. আসাদুজ্জামান
এ উদ্বেগ প্রকাশ করেন।হামলার ঘটনায় নিন্দা জানিয়ে তিনি বলেন, নতুন করে এই ধরনের হামলার ঘটনায় আবারো উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠার সৃষ্টি হয়েছে। এই অবস্থায় কালক্ষেপণ বা দোষারোপের রাজনীতি না করে সরকারের উচিত  প্রকৃত সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা।ড. আসাদুজ্জামান রিপন বলেন, সরকার স্থানীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এক ধরনের অস্থিরতায় ভুগছে। বারবার নানা ধরনের পরিবর্তন এনে স্থানীয় সরকার ব্যবস্থা নিজেদের অনুকূলে নেয়ার অপচেষ্টায় প্রস্তাবিত আইনটি জগাখিচুড়িতে পরিণত হয়েছে।তিনি বলেন, তারা একদিকে স্থানীয় সরকারে পৌরসভায় মেয়র ও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদে দলীয় প্রতীকে ও মনোনয়নের বিধান রেখে বাকি কাউন্সিলর ও মেম্বার পদে অরাজনৈতিকভাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতার সুযোগ রেখে একটি কিম্ভুতকিমাকার ব্যবস্থার সৃষ্টি করেছে।ড. রিপন বলেন, শুরু থেকেই এ সরকারের উদ্দেশ্য ছিল যে কোনোভাবেই হোক স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোকে কব্জা করা। সে লক্ষ্যেই সমাজের মানসিক প্রস্তুতি ছাড়াই এবং নির্বাচন পরিচালনাকারী কর্তৃপক্ষ তথা নির্বাচন কমিশনের আজ্ঞাবাহী অবস্থায় নিপতিত হওয়ার প্রেক্ষাপটে রাজনৈতিক দলগুলোর সক্ষমতা অর্জনের পূর্বে দলীয় মনোনয়ন ও প্রতীকে স্থানীয় সরকার নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত শেষমেশ হালে পানি পাচ্ছে না।তিনি বলেন, মন্ত্রিসভায় এ সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত নেয়ার পর বিএনপি এ ব্যাপারে তাদের পর্যবেক্ষণ তুলে ধরেছিল এবং এতবড় একটি নীতিগত সিদ্ধান্ত গ্রহণের আগে সংশ্লিষ্ট সকল মহলের সঙ্গে আলোচনা করার আহবানও জানিয়েছিল। কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয়, সরকার আমাদের পরামর্শ ও আহ্বান বিবেচনায় না নেয়ায় এখন ভুল শুধরাতে এবং নিজেদের অনুকূলে রাখার জন্য দফায় দফায় আইন সংশোধন করছে। অধ্যাদেশ বাতিল করে আইন করতে যাচ্ছে। যা হযবরল’র ঘটনা সৃষ্টি করেছে।বিএনপির এই মুখপাত্র বলেন, বিস্ময়ের ব্যাপার হলো- কোনো আইন সংশোধন কিংবা প্রণয়নে অথবা যে কোনো নীতিগত সিদ্ধান্ত মন্ত্রিসভায় উত্থাপিত হওয়ার প্রক্রিয়ায়-মন্ত্রীদের যে হোম ওয়ার্ক থাকা প্রয়োজন। বর্তমানে বিনাভোটে নির্বাচিত সরকারের মন্ত্রীদের মধ্যে তার অভাব প্রকটভাবে দেখা যাচ্ছে। মন্ত্রিসভায় স্থানীয় সরকার নির্বাচন দলীয় মনোয়নে ও দলীয় প্রতীকে হওয়ায় সিদ্ধান্ত তারা নিলেও-হাজার হাজার প্রার্থীকে মনোনয়ন দেয়ার ব্যাপারে বাছাই প্রক্রিয়া কোনো রাজনৈতিক দলের গঠনতন্ত্রে উল্লেখ নেই।তিনি বলেন, এসব সক্ষমতা না থাকা সত্ত্বেও তারা এ সিদ্ধান্ত নিয়ে অগ্রসর হন শুধুমাত্র জাতীয় নির্বাচনের দাবিকে পাশ কাটানোর জন্য এবং আগের মতো গায়ের জোরে মেয়র, চেয়ারম্যানের পদগুলো করায়ত্ব করে বিদেশিদের দেখানোর জন্য।তিনি বলেন, স্থানীয় সরকার নির্বাচনে সরকার আজ্ঞাবাহী নির্বাচন কমিশনকে ব্যবহার করে ফলাফলকে নিজেদের পক্ষে নেয়ার জন্য নানা কৌশল নিয়ে এগুচ্ছে। সে অপকৌশলের অংশ হিসেবে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী, নির্বাচনী এজেন্ট কর্মীদের সারাদেশে গ্রেফতার করে কারাগারগুলোতে মানবিক বিপর্যয়ের পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে যাচ্ছে।ড. রিপন বলেন, আমরা সরকারের এ ধরনের দমন-নিপীড়ন নীতির তীব্র প্রতিবাদ করছি।তিনি বলেন,  স্বাস্থ্যমন্ত্রী কয়েকদিন আগে বিরোধী দলকে বলেছেন, সাহস থাকলে স্থানীয় সরকারের নির্বাচনে অংশ নিয়ে জনপ্রিয়তা দেখান। বিএনপি সরকারের উদ্দেশ্যে বলতে চায় আসন্ন পৌর ও ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে কোনো ছল-চাতুরির আশ্রয় না নিয়ে নির্বাচনে জনগণকে অবাধে ভোট দিতে বাধা সৃষ্টি না করে এবং  গ্রেফতার-নিপীড়ন বন্ধ করে লেভেল প্লেইং ফিল্ড তৈরি করে স্থানীয় সরকার নির্বাচনে নিজেদের জনপ্রিয়তা জাচাই করুন।