Sun. May 4th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

17খোলা বাজার২৪ ॥ বৃহস্পতিবার, ১৯ নভেম্বর ২০১৫ : বে আইনিভাবে অ্যালকোহলযুক্ত বিয়ার উৎপাদন ও বাজারজাতকরণের মামলায় যমুনা গ্রুপের চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম বাবুলকে আদালতে তলব করা হয়েছে।
ঢাকার ৪ নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইবুনাল বাবুলের সঙ্গে একই প্রতিষ্ঠানে মালিকানার অংশীদার তার স্ত্রী সালমা ইসলাম ও ছেলে শামীম ইসলামকেও আগামী ২৪ নভেম্বর হাজির হতে নির্দেশ দিয়েচে।
গত মঙ্গলবার আদালতের এ আদেশ হওয়ার পর কোম্পানিটির মতিঝিল সেনাকল্যাণ ভবনের কার্যালয় ও তাদের গুলশানের বাড়িতে বুধবার সমন পাঠানো হয় বলে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকের জানিয়েছেন এই ট্রাইব্যুনালের পেশকার আবুল কালাম আজাদ।
প্রায় ১১ বছর আগে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে গাজীপুরের কালিয়াকৈর থানায় যমুনার সহযোগী প্রতিষ্ঠান মেসার্স ক্রাউন বেভারেজের বিরুদ্ধে মামলাটি করে মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর। মামলাটির কার্যক্রম দীর্ঘদিন হাই কোর্টের নির্দেশে স্থগিত ছিল বলে নথিপত্রে সূত্রে জানা যায়।
ক্রাউন বেভারেজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শামীম ইসলাম। নুরুল ইসলাম ও সালমা এর পরিচালক। প্রতিষ্ঠানটির মহাব্যবস্থাপক মো. সুরোজ রহমান শেখও মামলার আসামি।
আসামি সুরোজ জামিন নিয়ে আর ট্রাইবুনালে হাজির না হওয়ায় তার জামিন বাতিল করা হয়।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, লাইসেন্স ছাড়া মল্ট ও হপস সহযোগে অভিযুক্তদের প্রতিষ্ঠান হান্টার ও ক্রাউন নামে মল্ট বেভারেজ ও নন অ্যালকোহলিক ব্রিউনিং পদ্ধতিতে উৎপাদনের জন্য ব্রিউয়ারি স্থাপন করেছেন। তারা ওই ব্রিউয়ারি থেকে হান্টার ও ক্রাউন নামের অ্যালকোহল বাজারজাতকরণের জন্য কয়েকটি দৈনিক পত্রিকায় ক্রমাগত বিজ্ঞাপন প্রচার করছেন। এ কাজের ব্যাখ্যা চাওয়া হলে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কোনো ব্যাখ্যা পাওয়া যায়নি প্রতিষ্ঠানটি থেকে।
মামলা দায়েরের পর ওই বছরই গাজীপুরের আদালত থেকে দ্রুত বিচারের জন্য ঢাকার এ ট্রাইবুনালে মামলাটি বিচারের জন্য স্থানান্তরিত হয়।
২০০৪ সালের বিভিন্ন সময়ে হাই কোর্ট থেকে অভিযুক্তরা জামিন নেন। ওই বছরই তারা হাই কোর্টে রিট আবেদন করলে মামলার কার্যক্রমে স্থগিতাদেশ আসে।
ট্রাইব্যুনালের রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি মাহফুজুর রহমান লিখন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, রিট আবেদনে বলা হয় হান্টার ও ক্রাউন পানীয়তে শতকরা ৫ ভাগের কম অ্যালকোহল রয়েছে সে কারণে তাদের পণ্য মাদক নয়।
মামলাটির বিচার দ্রুতবিচার ট্রাইবুনালে চলা এবং দ্রুতবিচার ট্রাইবুনাল আইনে গঠন করা এ ট্রাইবুনালের বৈধতা নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয় রিট আবেদনে।