Sun. May 4th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

20খোলা বাজার২৪ ॥ বৃহস্পতিবার, ১৯ নভেম্বর ২০১৫ : একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধকালে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে সালাউদ্দিন কাদের (সাকা) চৌধুরী ও আলী আহসান মোহাম্মাদ মুজাহিদের ফাঁসির সাজা পুনর্বিবেচনার (রিভিউ) আবেদন খারিজের পূর্ণাঙ্গ রায় শিগগির পাওয়া যেতে পারে বলে জানিয়েছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।
অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, আজ সকালে প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের চার সদস্যের বেঞ্চে সাকা চৌধুরী ও মুজাহিদের রিভিউ আবেদন খারিজের সংক্ষিপ্ত রায়ের কপির জন্য আরজি জানান তিনি। এই পরিপ্রেক্ষিতে আদালত বলেন, সংক্ষিপ্ত রায়ের কপির প্রয়োজন হবে না। যত দ্রুত সম্ভব পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ করা হবে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন কাদের (সাকা) চৌধুরী ও জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মাদ মুজাহিদের ফাঁসির সাজা পুনর্বিবেচনার (রিভিউ) আবেদন গতকাল বুধবার খারিজ করে দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। ফলে এই দুই মানবতাবিরোধী অপরাধীর ফাঁসির সাজা বহাল থাকল।
প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের চার সদস্যের বেঞ্চ গতকাল বেলা ১১টা ৩৫ মিনিটে দুটি আবেদনই খারিজ করে দেন। এই আদেশের সময় প্রধান বিচারপতি শুধু বলেন, ‘ডিসমিসডৃডিসমিসড।’ এই বেঞ্চের অপর সদস্যরা হলেন বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানা, বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন ও বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী।
প্রায় পাঁচ বছরের দীর্ঘ বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে গতকাল আপিল বিভাগের এ আদেশের মধ্য দিয়ে শেষ হলো সাকা চৌধুরী ও মুজাহিদের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার কার্যক্রম। প্রাণভিক্ষার জন্য রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা চাওয়া ছাড়া এখন আর কোনো পথ খোলা নেই তাঁদের সামনে।
মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে কীভাবে দণ্ড কার্যকর হবে, তা বিস্তারিত বলা আছে জামায়াত নেতা আবদুল কাদের মোল্লার সাজা পুনর্বিবেচনার আবেদন খারিজের রায়ে। আপিল বিভাগের ওই রায় অনুসারে, আদালতের আদেশ পাওয়ার পর কারা কর্তৃপক্ষকে আসামির সঙ্গে তাঁর পরিবারের সদস্যদের দেখা করার সুযোগ দিতে হবে। আর কারা কর্তৃপক্ষ আসামির কাছে জানতে চাইবে, তিনি রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমার আবেদন করবেন কি না। যদি আসামি ক্ষমার আবেদন করতে না চান, তবে কারা কর্তৃপক্ষের উচিত দেরি না করে দণ্ড কার্যকর করা। তবে জেলকোডের ৯৯১ বিধি অনুসারে ৭ বা ২১ দিনে দণ্ড কার্যকরের নিয়ম এ ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে না।