খোলা বাজার২৪ ॥ বৃহস্পতিবার, ১৯ নভেম্বর ২০১৫ : ইসলামিক স্টেটের দাবিক সাময়িকীতে প্রকাশিত এই ছবিতে সুয়েপস গোল্ড কোমলাপানীয়ের একটি ক্যান, সম্ভাব্য ডেটোনেটর ও সুইচ দেখা যাচ্ছে। ছবি: সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম
কোমলপানীয় সুয়েপসের একটি ক্যান ব্যবহার করে তৈরি বিশেষ ধরনের ধরনের বোমা ব্যবহার করে মিশরের সিনাইতে রুশ বিমানটি ধ্বংস করা হয়েছে বলে দাবি করেছে ইসলামিক স্টেট (আইএস) ।
বুধবার জঙ্গিগোষ্ঠীটির দাপ্তরিক সাময়িকী ‘দাবিক’ এ একটি ছবি ছাপিয়ে এ দাবি জানানো হয়েছে।
ছবিতে নীল জমিনে রাখা সুয়েপস গোল্ড কোমলপানীয়ের একটি ক্যান, সম্ভাব্য ডেটোনেটর ও একটি সুইচ দেখা গেছে। এই তিনটি সাধারণ জিনিস ব্যবহার করেই ২২৪ জন আরোহীসহ রুশ যাত্রীবাহী বিমানটি উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে বলে দাবি করেছে চরমপন্থি গোষ্ঠীটি।
৩১ অক্টোবর ভোরে মিশরের লোহিত সাগর তীরবর্তী অবকাশ কেন্দ্র শার্ম আল শেখ থেকে রওয়ানা হওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই মধ্যাকাশে রুশ বিমানটি বিধ্বস্ত হয়, এতে বিমানটির ২২৪ আরোহীর সবাই নিহত হন।
আইএসের প্রকাশিত ছবিতে দেওয়া সাধারণ জিনিসগুলো ব্যবহার করে বিমান উড়িয়ে দেওয়ার দাবিটি সত্য হলে এটি বিশ্বব্যাপী এয়ারলাইনগুলোর নিরাপত্তা দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তাদের উদ্বিগ্ন করে তুলবে।
ইংরেজি ভাষায় প্রকাশিত দাবিকে সাময়িকীর ওই প্রতিবেদনে রাশিয়া ও পশ্চিমা শক্তিগুলোকে লক্ষ করে বলা হয়, “মুসলিম খিলাফতে কাপুরুষোচিত বোমাবর্ষণ করে পূবের ও পশ্চিমের বিভক্ত ক্রুসেডাররা নিজেদের জেটবিমানগুলোতে নিজেদের নিরাপদ ভেবেছে, যারা নিজেদের ককপিটে নিজেদের নিরাপদ ভেবেছে তাদের উপর প্রতিশোধ নেওয়া হয়েছে।”
পশ্চিমা দেশগুলো মেট্রোজেটের পরিচালিত ওই রুশ বিমানটি বোমায় বিধ্বস্ত হয়ে থাকতে পারে বলে ধারণা প্রকাশ করে আসছিল, মঙ্গলবার ওই ধারণা নিশ্চিত করেছে রাশিয়া। তবে মিশরীয় সরকার এখনও বলছে, বিমানটি বিধ্বস্ত হওয়ার পেছনে কোনো অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের প্রমাণ পাননি তারা।
বিস্ফোরক বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, ছবিতে প্রদর্শিত জিনিসগুলো দিয়ে বিমান নামানো সম্ভব, তবে কোমলপানীয়ের ক্যানটিতে কী ধরনের বিস্ফোরক ছিল আর তা কোথায় রাখা হয়েছিল তার উপর এটি নির্ভর করছে।
বিমানের সবচেয়ে নাজুক স্থানগুলোর মধ্যে জ্বালানি লাইন, ককপিট বা বিমানের কাঠামোর কাছের স্থানগুলো অন্যতম। এসব স্থানে রেখে শক্তিশালি বিস্ফোরক ব্যবহার করে বড় ধরনের বিমান ধ্বংস করা সম্ভব বলে মনে করেন তারা।