শুক্রবার, ২০ নভেম্বর ২০১৫ : গাজীপুরের কালীগঞ্জে উৎপাদিত মালের মূল্য বৃদ্ধির দাবিতে অনির্দিষ্ট কালের জন্য কর্ম বিরতি পালন করছেন সাড়ে চার শতাধিক তাঁত শ্রমিক। এতে উৎপাদন ব্যহত হওয়ার আশঙ্কায় মালিকরা।
একাধিক তোয়ালে কোম্পানির মালিক ও শ্রমিকরা জানায়, উপজেলার কালীগঞ্জ পৌরসভা, বাহাদুশাদী ও জামালপুর ইউনিয়নের বালিগাঁও, খঞ্জনা, ভাদগাতি, বড়নগর, চৌড়া, উত্তরগাঁও, কোহিনুর মার্কেট, বাহদুরশাদী ও জামালপুর গ্রামের প্রায় ৭০ জন মালিকের চারশ ৫০টি পাওয়ারলুম বা তোয়ালে তৈরির প্রতিষ্ঠান রয়েছে। যেখানে প্রতিদিন প্রায় সাড়ে চার শতাধিক শ্রমিক কাজ করেন।
তাদের উৎপাদিত বিভিন্ন ধরনের তোয়ালে ও রুমাল দেশের চাহিদা মিটিয়ে আন্তর্জাতিক বিশ্বে রপ্তানি করে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করে আসছে। উৎপাদিত তোয়ালে রাজধানী ঢাকার সদরঘাট, চকবাজার, সিলেট, পাবনা, রাজশাহী, বগুড়া, রংপুর ও চট্টগ্রামের বিভিন্ন দোকানে পাইকারি বিক্রি ও সরববাহ করা হয়। প্রতিটি তোয়ালের জন্য শ্রমিকদের মুজুরি হিসাবে ৩০ সাইজের জ্যাকেটের মুজুরি ১৩টাকা, ২৭ সাইজের জন্য ১২টাকা, ২২-৩৪ সাইজের জন্য সাড়ে ৮টাকা, ২৫ সাইজের জন্য সাড়ে ৭টাকা ও ১৫ সাইজের ৫ টাকা হারে দিয়ে আসছে মালিক পক্ষ। শ্রমিকরা মঙ্গলবার উৎপাদিত প্রতিটি তোয়ালের মুজুরি ২টাকা হারে বৃদ্ধির দাবিতে অনির্দিষ্ট কালের জন্য কর্মবিরতি ঘোষণা করেন।
এ বিষয়ে নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক শ্রমিক জানান, আমাদের জন্য যে মুজুরি নির্ধারণ করা হয়েছে তা অনেক আগের। এ দিয়ে পুরো মাস কাজ করে পরিবারের খরচ মেটানো কষ্ট হয়। বর্তমান বাজার দর অনুযায়ী আমরা খুব বেশি দাবি করিনি। আমাদের উৎপাদিত পণ্যের দাম বাড়লেও শ্রমিকদের মুজুরি বাড়ে না। আমরা প্রতিটি পণ্যের জন্য ৫টাকা মুজুরি বৃদ্ধির দাবিতে কর্মবিরতি পালন করছি।
এ বিষয়ে আলমগীর ড্রাইং এর মালিক মো. ছাফির উদ্দিন ও জননী টাওয়ালের মালিক মোহাম্মদ আলী জানান, শ্রমিকরা তাদের উৎপাদিত পণ্যের মুজুরি পিছপ্রতি দুই টাকা হারে বৃদ্ধির দাবি জানান। আমরা তাদের এক টাকা মুজুরি বৃদ্ধি করলে শ্রমিকরা কাজে যোগ দেন। কিন্তু বুধবার থেকে আমাদের কিছু না জানিয়েই কর্মবিরতি পালন করছেন শ্রমিকরা।