Wed. Jun 18th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

65খোলা বাজার২৪ ॥ শুক্রবার, ২০ নভেম্বর ২০১৫ : মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদণ্ডাদেশ পাওয়া বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের (সাকা) চৌধুরী ও জামায়াত নেতা আলী আহসান মোহাম্মাদ মুজাহিদের ফাঁসির মঞ্চ প্রস্তুত করা হয়েছে। প্রস্তুত করা হয়েছে দুই জল্লাদকেও।
শুক্রবার সকালে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের জ্যেষ্ঠ জেল সুপার জাহাঙ্গীর কবির এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি জানান, ‘সাকা চৌধুরী ও মুজাহিদের রায়ের কপি কারাগারে পৌঁছানোর পর ফাঁসির মঞ্চ তৈরির কাজ শুরু হয়। বৃহস্পতিবার রাত ২টার মধ্যে এ কাজ সম্পন্ন হয়। মঞ্চটি ধোয়ামোছা শেষে এর চারপাশে শামিয়ানা টানানো হয়েছে। ফাঁসি কার্যকর করতে শাহজাহান ও রাজু নামের দু’জন জল্লাদকে প্রস্তুত করা হয়েছে।’
দুই জল্লাদের পরিচয়:
বিভিন্ন মামলার নথি সূত্রে জানা যায়, জল্লাদ শাহজাহান ২০১৩ সালের ১২ ডিসেম্বর প্রথম যুদ্ধাপরাধী কাদের মোল্লার ফাঁসি কার্যকর করেন। অন্যদিকে, চলতি বছরের ১২ এপ্রিল আরেক জামায়াত নেতা কামারুজ্জামানের ফাঁসি কার্যকরে ভূমিকা রাখেন জল্লাদ রাজু।
ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার সূত্রে জানা যায়, শাহজাহান ১৪৩ বছরের বেশি কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি। ৩৬ বছর ধরে তিনি কারাগারে আছেন। আর রাজু ১৫ বছর ধরে কারাগারে আছেন।
শাহজাহান বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার ৫ আসামি, এরশাদ শিকদারসহ বিভিন্ন আসামির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করেছেন।
গত বুধবার মানবতাবিরোধী অপরাধে সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী ও আলী আহসান মোহাম্মাদ মুজাহিদের রিভিউ আবেদন নিষ্পত্তি করে তাদের মৃত্যুদণ্ডাদেশ বহাল রেখে রায় দেন আপিল বিভাগ। এর একদিন পর বৃহস্পতিবার রিভিউ আবেদন খারিজের পূর্ণাঙ্গ রায়ের কপি কারাগারে পৌঁছানো হয়েছে।
সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে সুপ্রিম কোর্টের অতিরিক্ত রেজিস্ট্রার আবু তাহের ভূঁইয়া দু’টি রায়ের কপি ট্রাইব্যুনালে পৌঁছে দেন। তারপর রাত পৌনে ৯টার দিকে সেখান থেকেই মৃত্যু পরোয়ানা তৈরি করে তা লাল কাপড়ে মুড়িয়ে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়।
বৃহস্পতিবার ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে জ্যেষ্ঠ জেল সুপার জাহাঙ্গীর কবীর জানান, ‘দু’জনকেই রায় পড়ে শোনানো হয়েছে। এ সময় তাদের কাছে জানতে চাওয়া হয়, তারা রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার আবেদন করবেন কি না। তখন দু’জনেই জানান, তারা এ ব্যাপারে আইনজীবির সঙ্গে কথা বলে সিদ্ধান্ত নেবেন। তখন তাদের জানানো হয়, আইনজীবির সঙ্গে সাক্ষাতের আর কোনো সুযোগ নেই। তখন তারা পরিবারের সঙ্গে আবার দেখা করতে চেয়েছেন।