খোলা বাজার২৪ ॥ শুক্রবার, ২০ নভেম্বর ২০১৫ : অস্ট্রেলিয়া মানেই দুর্দান্ত এক দল। যারা শুধু ব্যাটিং দিয়ে ম্যাচ জিততে পারে, যে দলের বোলাররাও পারেন মুহূর্তেই ম্যাচ ঘুরিয়ে দিতে। আর যেদিন ব্যাটসম্যান এবং বোলাররা নিজেদের মেলে ধরতে পারেন না সেদিন কেবল ফিল্ডিং দিয়েও ম্যাচে ফিরে আসতে পারে। শুধু ফিল্ডিং দিয়েও যে ম্যাচ জেতা যায় সেই ধারণার সৃষ্টিই করেছে অস্ট্রেলিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকার মতো দলগুলো। অথচ সেই অস্ট্রেলিয়ার ফিল্ডিং নিয়েই এখন প্রশ্ন উঠছে এখন। অস্ট্রেলিয়ান সাবেক অধিনায়ক ইয়ান চ্যাপেল তো বলেই দিলেন গত ত্রিশ বছরে বর্তমান অস্ট্রেলিয়া দলের ফিল্ডিংই সবচেয়ে খারাপ!
স্টিভ স্মিথের অধিনায়কত্বে নতুন এক যুগের শুরু হয়েছে। দলের বেশির ভাগ সিনিয়র খেলোয়াড়েরা প্রায় একই সময়ে অবসরে যাওয়ায় প্রায় নতুন চেহারা নিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। গুরুত্বপূর্ণ সব ব্যাটসম্যান ও বোলারকে ছাড়া কঠিন কঠিন সময় পারতে হবে, এমন শঙ্কাই জেগেছিল। কিন্তু বোলিং বা ব্যাটিং নয়, স্মিথের এই ‘প্রায় নতুন’ দলের মূল সমস্যা এখন ফিল্ডিং! নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজে একের পর এক ক্যাচ পড়া, রান আউটের সহজ সব সুযোগ হাতছাড়া করার ঘটনা দলের ফিল্ডিং নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিয়েছে। সেই প্রসঙ্গেই চ্যাপেল বললেন, ‘এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি সমস্যা। ৮০ ‘র দশকের মাঝামাঝি সময়ে এ রকম সময় পার করেছি আমরা। নির্বাচকেরা তখন দলে নতুন খেলোয়াড় এনে সমস্যার সমাধানও খুঁজে বের করেছিল। কিন্তু এখন সেটিও করা সম্ভব হচ্ছে না। শুধু ক্যাচ ফেলে দেওয়াতেই সমস্যা আটকে নেই। ক্যাচের সুযোগ বানিয়ে নেওয়ার ব্যাপারটিও আপনাকে ভাবতে হবে। দলে ওয়ার্নার কিংবা স্মিথ ছাড়া এমন কেউ নেই সেটি করতে পারে।’
ক্যাচ নেওয়া তো আছেই, চলতি সিরিজেই বেশ কয়েকটি রান আউটের সহজ সুযোগ হাতছাড়া হওয়াতেও বেশ বিরক্ত হয়েছেন চ্যাপেল। মিচেল জনসনের অবসর নেওয়ায় সমস্যাটা আরেকটু বাড়বে বলেই তাঁর ধারণা, ‘গ্রাউন্ড ফিল্ডিং এবং থ্রোয়িং নিয়েও সমস্যা রয়েছে। এমনকি ৮০ ‘র দশকের চেয়েও বাজে অবস্থা। দলে ভালো থ্রো করতে পারে এমন খেলোয়াড় খুব কম। মিচেল দুর্দান্ত এক ফিল্ডার ছিল। ও চলে যাওয়ায় একজন ভালো থ্রোয়ারও কমে গেল।’
দলের কোচ ড্যারন লেম্যান এতটা কড়া ভাষায় না বললেও দলের ফিল্ডিং নিয়ে সমস্যাটা মানছেন। নিজেই স্বীকার করেছেন পার্থ টেস্টে দলের ফিল্ডিং ছিল ‘খুব বেশি হলেও গড়পড়তা মানের।