Sun. May 4th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

22খোলা বাজার২৪ ॥ শনিবার, ২১ নভেম্বর ২০১৫ : ইনিংসের প্রথম বলটির মুখোমুখি হতে হয় তাঁকেই। নতুন বলে প্রতিপক্ষের দ্রুত গতির বোলারকে সামলানো কতটা কঠিন, বাংলাদেশ দলে তামিম ইকবালের চেয়ে ভালো আর কে বোঝেন? এই কঠিন কাজটাই দিনের পর দিন অক্লেশে করে আসছেন তিনি। তিন ধরনের ক্রিকেটে ২৭৩ ইনিংসের ২৬৬টিতেই প্রথম বলটি খেলতে হয়েছে তামিমকে। প্রথম বল খেলতে গিয়ে নানান অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে যেতে হয় ওপেনারদের। তামিমের গল্পটা অবশ্য যতটা মজার, তার চেয়ে বেশি তিক্ততায় ভরা!
অনেক ওপেনারই প্রথম বল খেলতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন না। তামিম ব্যতিক্রম। প্রথম বলের চ্যালেঞ্জটা বেশ উপভোগই করেন এ ওপেনার। তবে গত বিশ্বকাপে এ নিয়ে ঘটল এক ঘটনা। হাঁটুতে অস্ত্রোপচারের পর গিয়েছিলেন বিশ্বকাপ খেলতে। অস্ত্রোপচারের ধকল সামলে কিছুটা সতর্ক থাকতেই ৯ ফেব্র“য়ারি পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচে ব্যাটিং শুরু করেছিলেন নন-স্ট্রাইক প্রান্ত থেকে। ওই ম্যাচে করেছিলেন ৮১।
প্রথম বল না খেলেই দারুণ ইনিংস খেলার পর তামিমের মনে কাজ করল এক কুসংস্কার। বিশ্বকাপে প্রথম ম্যাচে আফগানিস্তানের বিপক্ষেও শুরু করলেন নন- স্ট্রাইক প্রান্ত থেকে। তবে এ দফা ব্যর্থ! করলেন ১৯। কুসংস্কার-টুসংস্কার ঝেড়ে পরের ম্যাচে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে আবারও শুরু করলেন প্রথম বল থেকেই। এবারও ব্যাট কথা বলল না। ফিরলেন শূন্য রানে! তখন তামিমকে নিয়ে তুমুল সমালোচনা চারদিকে।
বাংলাদেশ দলের ওপেনার ফিরে গেলেন দুঃসময়ের দিনরাত্রিতে, ‘তখন কোনো কোনো পত্রিকায় লেখা হলো, আমার আত্মবিশ্বাস নাকি তলানিতে! এ কারণে প্রথম বল খেলতে চাইনি ওই ম্যাচগুলোয়। একটা সময় মোহাম্মদ হাফিজ শুরুতেই বল করত। বছর চারেক আগে হাফিজের বলে পর পর কয়েক ম্যাচে (চার ম্যাচে তিনবার) আউট হয়েছিলাম। তবুও প্রথম বলে স্ট্রাইক করেছি। তাকে খেলেছি। অনেক বড় ব্যাটসম্যানকে এমন সময়ে স্ট্রাইক বদলাতে দেখেছি। আমি কখনো করিনি। কারণ চ্যালেঞ্জটা নিতে আমার ভালো লাগে। নন-স্ট্রাইক প্রান্তে থাকতে আমার ভালো লাগে না। চাই যত বেশি বল খেলতে।’
তবে ওপেনার হিসেবে তামিমের মনে একটা ‘দুঃখ’ আছে! বাংলাদেশ কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহেকে দুঃখটা জানিয়েছিলেনও একবার। বাকিটা শুনুন তামিমের মুখেই, ‘‘কোচকে দুঃখের সঙ্গে একবার বলেছিলাম, ‘টেস্টে সারা দিন ফিল্ডিং করে শেষ বিকেলে ২০-২৫ ওভারের জন্য ব্যাটিং পেলে দলের তিন নম্বর ব্যাটসম্যানকে অক্ষত রাখতে একটা নাইটওয়াচম্যান পাঠিয়ে দেন। কই, কোনোদিন ওপেনারের জায়গায় তো নাইটওয়াচম্যান পাঠান না! আমাদের কি ব্যাটসম্যান মনে হয় না? শুনে কোচ শুধু হাসেন!’’