খোলা বাজার২৪ ॥ শনিবার, ২১ নভেম্বর ২০১৫ : দুই মাসের বেশি সময় যুক্তরাজ্যে অবস্থানের পর দেশে ফিরেছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া।শনিবার বিকাল ৫টা ১০ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছে খালেদা জিয়াকে বহনকারী এমিরেটস এয়ারলাইনসের বিমানটি।বিমানবন্দর থেকে খালেদা জিয়া সরাসরি তার গুলশানের বাসভবনে চলে যান।খালেদা জিয়াকে বহনকারী বিমানটি নামার বেশ আগে থেকেই বিমান বন্দর এলাকায় কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়। যাত্রী ছাড়া সবাইকেই মূল সড়কেই আটকে দেয়া হয়। সাংবাদিকদেরও প্রবেশ করতে দেয়া হয়নি।খালেদা জিয়াকে স্বাগত জানাতে বিমানবন্দরে বহু নেতাকর্মী উপস্থিত হয়েছিলেন, কিন্তু পুলিশ তাদের মূল সড়কেই আটকে দেয়।বিএনপির হাজার হাজার নেতাকর্মী বিমান বন্দর এলাকায় ঢুকতে না পেরে এয়ারপোর্ট রোডের ওপরেই জড়ো হয়ে তাদের নেত্রীরে আগমনের অপেক্ষা করেন।প্রত্যক্ষদর্শীরা জানাচ্ছেন, মওদুদ আহমেদ এবং আব্দুল্লাহ আল নোমানের মতো সিনিয়র নেতাদেরকেও বিমানবন্দরে প্রবেশ করতে দেয়নি পুলিশ।এ ব্যাপারে জানতে চাওয়া হলে বিমানবন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কামাল হোসেন বলেন, বাংলাদেশের বর্তমান নিরাপত্তা পরিস্থিতির কারণেই এ কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে।গত ১৫ সেপ্টেম্বর চিকিৎসার জন্য লন্ডনে যান খালেদা জিয়া। সেখানে ছেলে তারেক রহমান, তার স্ত্রী জোবাইদা রহমান ও নাতি-নাতনিদের সঙ্গে অবস্থান করছেন তিনি। এই প্রথম পবিত্র ঈদুল আজহার সময় দেশের বাইরে থাকলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী।এর আগে লন্ডন স্থানীয় সময় শুক্রবার রাত ১০টায় (বাংলাদেশ সময় ভোর ৪টা ১৫ মি.) বাংলাদেশের উদ্দেশে লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দর ছাড়েন খালেদা জিয়া। তার বড় ছেলে, দুই ছেলের বউসহ পরিবারের অন্যান্য সদস্য এবং লল্ডন বিএনপির নেতা-কর্মীরা খালেদা জিয়াকে বিদায় জানান।এদিকে, খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দায়ের করা জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট ও জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য ২৬ নভেম্বর দিন নির্ধারণ করেছে আদালত।শনিবার এ দিন ধার্য ছিল। খালেদা জিয়া দেশের বাইরে থাকায় আদালতে হাজির হতে পারেননি। এ কারণে তার আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া সময়ের আবেদন করেন।খালেদা জিয়া দেশে ফিরবেন না বলে আওয়ামী লীগ নেতা ও মন্ত্রীদের বক্তব্যের মধ্যে গত বৃহস্পতিবার তার ফেরার খবর দেয় বিএনপি।দলের মুখপাত্র আসাদুজ্জামান রিপন এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, দেশের ক্রান্তিকাল ও রাজনীতির সঙ্কট বিবেচনা করেই আমাদের দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া চিকিৎসা অসমাপ্ত রেখে দেশে ফেরার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।