খোলা বাজার২৪ ॥ শনিবার, ২১ নভেম্বর ২০১৫ : এআইজি (প্রিজন) কর্ণেল ফজলুল কবীর আজ রাত ৮টার দিকে কারাগারে পৌঁছেছেন। মানবতা বিরোধী অপরাধে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত সাকা চৌধুরী ও মুজাহিদের ফাসি দেয়াকে কেন্দ্র করে কারাগারে নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরো জোড়দার করা হয়েছে। কারাগার সূত্র বলছে, কারাগারের অভ্যন্তরের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। কিছুক্ষণের মধ্যেই দুটি অ্যাম্বুলেন্স কেন্দ্রীয় কারাগারের ঢুকবে বলে জানা গেছে। মূলত রাষ্ট্রপতির কাছে সালাউদ্দিন কাদের ও মুজাহিদের প্রাণভিক্ষার আবেদন খারিজ হলে ফাঁসি কার্যকরের প্রক্রিয়া শুরু হবে। ইতিমধ্যে প্রাণভিক্ষার আবেদনের আইনি বিষয়ে মতামত দিয়ে তা বঙ্গভবনে পাঠিয়ে দিয়েছে আইন মন্ত্রণালয়।
বিষয়টি নিষ্পত্তি হওয়ার ওপরই নির্ভর করছে ফাঁসি কার্যকরের বিষয়টি। এর আগে সকাল থেকেই নাজিমউদ্দিন রোডে কারাগারের সামনে র্যাব-পুলিশের উপস্থিতি বাড়তে থাকে। বিকালের দিকে একাধিক গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যসহ বিভিন্ন বাহিনীর সদস্য কয়েকগুণ বেড়ে যায়।
বিকেল ৪টার আগে শুধু র্যাব সদস্যদের সশস্ত্র পাহারায় দেখা গেলেও সন্ধ্যার আগে সশস্ত্র পুলিশ সদস্যদেরও সতর্ক অবস্থায় দেখা যাচ্ছে। কারা ফটকের আশপাশে গণমাধ্যমকর্মী ছাড়া কাউকে যাওয়া-আসা করতে দিচ্ছে না আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। সাংবাদিকদেরও পরিচয়পত্র গলায় ঝুলিয়ে রাখতে বলা হয়েছে। দক্ষিণপূর্ব পাশ দিয়ে কারাগার সংলগ্ন সড়কে যান চলাচল সকাল থেকেই বন্ধ রয়েছে। সন্ধ্যার পর নাজিমউদ্দিন রোডেও যানবাহন চলাচল সীমিত করে দেয়া হয়েছে।