খোলা বাজার২৪ ॥ রবিবার, ২২ নভেম্বর ২০১৫ : মানবতাবিরোধী অপরাধে ফাঁসি কার্যকর হওয়া সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর ঔদ্ধত্যপূর্ণ কটূক্তির জন্য ব্যক্তিজীবনে এবং রাজনৈতিক জীবনে আলোচিত-সমালোচিত।
সাকা চৌধুরীর ঔদ্ধত্যপূর্ণ কিছু উক্তি:
বিএনপির চেয়ারপারসনকে নিয়ে সাকা চৌধুরী বলেছিলেন, ‘তালাকপ্রাপ্ত বউয়ের ঘর করি না আমি।’
তারেক রহমানের বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে খালেদা জিয়া নীরব থাকার পরিপ্রেক্ষিতে তিনি বলেছিলেন, ‘আগে কুকুর লেজ নাড়ত, এখন লেজ কুকুরকে নাড়ায়।’
২০০৪ সালে বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালে তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেতা শেখ হাসিনার ওপর গ্রেনেড হামলা নিয়েও তির্যক মন্তব্য করেন সাকা চৌধুরী। তিনি বলেছিলেন, ‘আমি গ্রেডেন ছুড়লে সেটা তো মিস হতো না।’
তিনি আরো বলেছিলেন, ‘ছাত্রজীবনে শেখ মুজিব আমার বাবার শিষ্য ছিলেন।’বঙ্গবন্ধুর পরিবারের সঙ্গে তার পরিবারের ভালো যোগাযোগ ছিল- এমন দাবি করে তিনি এ কথা বলেন।
তার বিরুদ্ধে শেখ হাসিনাকে উসকে দিচ্ছে কেউ কেউ- এমন দাবি করে সাকা চৌধুরী বলেছিলেন, ‘ওই মহলটি জানে না, তারা যে বিলের মাছ, আমি সালাউদ্দিন ওই বিলের বক।’
নারী নির্যাতন সম্পর্কে গত আওয়ামী লীগ সরকারের আইন প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলামের একটি বক্তব্য নিয়ে প্রতিক্রিয়া দেখাতে গিয়ে সাকা চৌধুরী বলেছিলেন, ‘তিনি কেরানীগঞ্জের একজন প্রমোদবালক- এটা কি আমি কখনো বলেছি?’
ওআইসির মহাসচিব পদে সাকা চৌধুরীর নাম প্রস্তাব করে তৎকালীন বিএনপি-জামায়াত জোট। এ নিয়ে সমালোচনা করেন আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ নেতা সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত। আর তাতেই তেলেবেগুনে জ্বলে গরল উগ্রে দেন সাকা চৌধুরী।
তিনি বলেছিলেন, ‘বাবু ওআইসি নিয়ে কথা বলার কে? উনাকে ওআইসি নিয়ে কথা বলতে হলে, আমি ছোটবেলায় যে জিনিসটা কেটে ফেলে দিয়েছি, আগে ওই জিনিসটা কেটে ফেলতে হবে। তারপর বাবুকে ওআইসি নিয়ে কথা বলতে বলেন।’
২০১৩ সালে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে দাঁড়িয়ে সাকা চৌধুরী বলেছিলেন, ‘আমার না হলে, ফাঁসি কারো হবে না।’
একই সালের ৩০ জুন আদালতে নিজের পক্ষে সাফাই সাক্ষীর বক্তব্য দেওয়ার সময় তিনি বলেছিলেন, ‘বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার ঘোষক হলে আমিও মুক্তিযুদ্ধের সমর্থক।’
আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালে রায় দেওয়া সময় সাকা চৌধুরী বিচারকের উদ্দেশে ব্যঙ্গ করে বলেছিলেন, ‘তোমার বোনকে বিয়ে করার কথা ছিল, সেটা বল না?’ একই প্রসঙ্গে আরো বেশ কয়েকবার বিচারককে টার্গেট করে কটূক্তি করেন তিনি।
উল্লেখ্য, ট্রাইব্যুনালে মৃত্যুদণ্ডাদেশ পাওয়ার পর ২০১৩ সালের ২৯ অক্টোবর রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেন সাকার ইনজীবীরা। আপিল আবেদনে মোট ১ হাজার ৩২৩ পৃষ্ঠার নথিপত্রে বিভিন্ন ডকুমেন্টসহ ২৭টি গ্রাউন্ড ছিল।