Sun. May 4th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

26খোলা বাজার২৪ ॥ রবিবার, ২২ নভেম্বর ২০১৫ : বাংলাদেশে ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময়কার মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে শনিবার দিবাগত রাত ১২টা ৫৫ মিনিটে সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী ও আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদের ফাঁসি কার্যকর করা হয়। মৃত্যুর আগে মানুষের কত কিছু না চিন্তা আসে। ইচ্ছা পূরণের স্বপ্ন হয়। কিন্তু তা কি সবাই পারে? মৃত্যু নিশ্চত জেনেও মানুষ কি স্থির থাকতে পারে? ফাঁসি নিশ্চিত তা জেনেও নিজেকে দুর্বল মনে করেননি সাকা চৌধুরী। তিনি জানেন হয়তো কিছুক্ষনের মধ্যেই তাকে যেতে হবে চিরতরের জন্য না ফেরার দেশে।
মৃত্যুর কাছে দাড়িয়ে নিজের প্রিয়জনের সাথে কথা বলেছিলেন সাকা চৌধুরী। সবাই কান্নায় ভেঙ্গে পড়লেও সাকা চৌধুরী স্বজনদের কাছে আবেগতাড়িত হয়নি। মানুষ মারা যাবে এটাই চির সত্য কথা। কিন্তু কখন মারা যাবে এটা কেউ বলতে পারে না। ফাঁসি নিশ্চিত! বলা যেতে পারে মৃত্যু যে কোন মুহুর্তে ছিনিয়ে নিবে প্রাণ পাখিটাকে। জল্লাদ কযেক মিনিটের মধ্যেই পাঠিয়ে দিবে মৃত্যুর দোয়ারে। জমটুপি পরিয়ে ফাঁসির মঞ্চের দিকে যখন নেওয়া হয় তখন সাকা চৌধুরী কোনো প্রতিক্রিয়া দেখাননি।
কিন্তু ফাঁসি নিশ্চিত! তা জেনেও সেই চিরাচরিত দম্ভের রেশে মৃত্যুর আগে শেষ খাবারের থালাটা ছুঁড়ে মারলেন সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী। কিন্তু কেন মৃত্যুর আগে শেষ খাবারের প্লেট ছুড়ে মারলেন সাকা? এমন প্রশ্নের জবাব হয়তো তিনি শুধু দিতে পারতেন। যার উত্তর আমাদের কাছে চিরতরের জন্য অজানা রয়ে গেলো।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পুলিশ কর্মকর্তা জানান, ফাঁসির আগে সাকা চৌধুরী এবং মুজাহিদকে শেষ খাবার খেতে দেওয়া হয়। খাবারে ছিলো মুরগির মাংস এবং সবজি। খাবার সামনে দেখে প্রথমে সাকা চৌধুরী খাবারের প্লেট ছুড়ে মারেন। তারপর তাকে বলা হয়, ওই খাবারটি আপনার শেষ খাওয়া ছিলো। তখন তিনি প্লেট তুলে খাবার খেয়ে নেন।