Tue. May 6th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

d5973003fad31cd000b55645745a9988

খোলা বাজার২৪ ॥স্বাস্থ্য ডেস্ক : স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে যারা পছন্দ করেন এমন কিছু খাবার আছে যা তাদের বর্জন করা উচিৎ এবং যেগুলোর নাম শুনলে আপনি একটু অবাকই হবেন।বেশির ভাগ মানুষ মনে করে যে সব ধরণের ফল ও সবজিই বুঝি স্বাস্থ্যকর। কিন্তু সত্যি কথা হল এমন অনেক ফল ও সবজি আছে যাদের বিশেষ কোন অংশ অনেক বিষাক্ত উপাদানে ভরপুর থাকে যা মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুঁকির কারণ।এই পরিচিত ও জনপ্রিয় খাবার গুলো বার বার গ্রহনের ফলে শরীরে বিষের মাত্রা বেড়ে আপনাকে অসুস্থ করে দিতে পারে।আসুন আমরা সেই খাবার গুলো সম্পর্কে জেনে নেই।

১। আপেল

প্রবাদে আছে – অর্থাৎ আপনি যদি প্রতিদিন একটি আপেল খান তাহলে আপনাকে আর ডাক্তারের কাছে যেতে হবে না।কিন্তু আপেলের বীচিতে হাইড্রোজেন সায়ানাইড নামক বিষ থাকে।আমরা সাধারণত আপেলের বীচি খাই না এবং একটা আপেলে খুব বেশি বীচি থাকেনা। কিন্তু আপেলের বীচি কোন কারণে বেশি পরিমাণে খেয়ে ফেললে ক্ষতির কারণ হতে পারে।তাই আপেলের জুস তৈরির সময় বীচি যেন না যায় সে ব্যপারে সতর্ক থাকুন।

২। চেরি

চেরি জনপ্রিয় একটি ফল।চেরি কাঁচা বা রান্না করেও খাওয়া হয় এবং মদ তৈরিতে ব্যবহার হয়।চেরির পাতা এবং বীজে বিষাক্ত উপাদান আছে।যখন চেরির বীজকে চুষা বা চূর্ণ করা হয় তখন প্রুসিক এসিড (হাইড্রোজেন সায়ানাইড)উৎপন্ন হয়।যখন ই চেরি খাবেন এর বীচি চুষে খাবেন না।বরই এবং পীচ ফলের ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য।

৩। কাজুবাদাম

মিষ্টি কাজুবাদাম ও তেতো কাজুবাদাম এই দুই ধরণের কাজুবাদাম পাওয়া যায়।তুলনামূলক ভাবে তেতো কাজুবাদাম এ প্রচুর হাইড্রোজেন সায়ানাইড থাকে।সাত থেকে দশটা তেতো কাজু বাদাম কাঁচা খেলে বড়দের সমস্যা হতে পারে এবং ছোটদের জন্য প্রাণনাশক হতে পারে।কিছু কিছু দেশ এই তেতো বাদাম বিক্রি করা অবৈধ ঘোষণা করেছ, যেমন- নিউজিল্যান্ড।আমেরিকাতে কাঁচা কাজু বাদাম বিক্রি নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

৪। জায়ফল

জায়ফল এ মাইরিস্টিসিন আছে যা মনের উপরে কাজ করে।সাধারণত রান্নায় যে পরিমাণ জায়ফল ব্যবহার করা হয় তা ক্ষতিকর নয়।কিন্তু বেশি পরিমাণে খেলে বমি,ঘামঝরা,মাথাঘোরা,মাথাব্যথা ও হ্যালুসিনেশন হয়।

৫। আলু

এমনিতে আলু খাওয়া নিরাপদ।কিন্তু আলুর পাতা ও কাণ্ডে গ্লাইকোএ্যল্কালয়েড থাকে।বাসায় অনেক দিন পর্যন্ত আলু রেখে দিলে এর মধ্যে গ্যাঁজ হয়ে যায়।এই গ্যাঁজে গ্লাইকোএ্যল্কালয়েড থাকে যা আলোর সংস্পর্শে বৃদ্ধি পায়।এইজন্য আলু সবসময় ঠাণ্ডা ও অন্ধকার জায়গায় রাখতে হয়।সবুজাভ ও গ্যাঁজ হওয়া আলু খেলে ডায়রিয়া, মাথাব্যাথা, এমনকি কোমায় চলে যেতে পারে ফলে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।

৬। কাঁচা মধু

কাঁচা মধুতে গ্রায়ানোক্সিন থাকে।তাই এক টেবিল চামুচ কাঁচা মধু খেলে মাথাঘোরা, দুর্বল লাগা, অত্যধিক ঘাম হওয়া, বমি বমি ভাব হওয়া এবং বমি হওয়া এই উপসর্গ দেখা দেয়।

৭। টমেটো

আলুর মতোই টমেটোর পাতা ও কাণ্ডে গ্লাইকোএ্যল্কালয়েড থাকে যা হজমে সমস্যা সৃষ্টি করে।কাঁচা সবুজ টমেটোতে ও একই উপাদান আছে। তবে অল্প পরিমাণে খেলে সমস্যা নেই।

৮। শিম এর বীচি

শিম এর বীচিতে ফাইটোহিমাটোগ্লুটানিন নামক বিষ থাকে।যা আপনাকে মারাত্মক অসুস্থ্য করে দিতে পারে যার ফলে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।তাই রান্নার পূর্বে ১০ মিনিট সিদ্ধ করে তারপর রান্না করতে হবে।

৯।ক্যাস্টর অয়েল

রেড়ীর তেল বিভিন্ন ধরণের ক্যান্ডি,চকলেট ও অন্যান্য খাদ্যে ব্যবহার করা হয়।অনেকেই আছেন যারা প্রতিদিন একটু ক্যাস্টর অয়েল খেয়ে থাকেন এবং বাচ্চাদেরকেও জোর করে খাওয়ান।রেড়ীর বীচিতে রিচিন নামক বিষ থাকে যা খুবই মারাত্মক বিষ।যারা এই বীজ সংগ্রহরের কাজ করে থাকেন তাদের মারাত্মক ধরণের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। রেড়ীর একটা বীজ খেলে একজন মানুষ মারা যায় আর চারটা খেলে একটা ঘোড়া মারা যায়। আমরা ভাগ্যবান, কারণ আমরা যে ক্যাস্টর অয়েল কিনি তা ভালোভাবে প্রস্তুত করা থাকে।