খোলা বাজার২৪ ॥ রবিবার, ২২ নভেম্বর ২০১৫ : প্রথম ম্যাচেই জমে উঠল বিপিএল। রংপুর রাইডার্স বনাম চিটাগং ভাইকিংসের ম্যাচটা নির্ধারিত হয়েছে একেবারে শেষ বলে। মাত্র এক রান করেই সতীর্থদের আলিঙ্গনের ভিড়ে হারিয়ে গেলেন সাকলায়েন সজীব। এই একটা রানই যে শেষ বলে ২ উইকেট বাকি থাকতে জয় এনে দিয়েছে রংপুরকে। ডাগ আউট থেকে সবাই মিলে ছুটে গেলেন। গাঢ় নীল জার্সির ছোটখাটো উৎসবই যেন হয়ে গেল মাঠের মধ্যে।
ম্যাচটা চট্টগ্রামের মুখের গ্রাস থেকে বের করে এনেছে রংপুর। শেষ ছয় ওভারেও ম্যাচের পাল্লা ভালোমতোই হেলে ছিল চট্টগ্রামের দিকেই। ৩৬ বলে দরকার ৯১ রান। ওভারে ১৫-এর বেশি করে রান তোলার কঠিন সমীকরণটাই মিলিয়ে দিল রংপুর। তাতে প্রধান ভূমিকা রাখলেন মিসবাহ-উল হক। ‘টুকটুক’ নামের অপবাদ ঘুচিয়ে দেবেন এই প্রতিশ্র“তি ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই রাখলেন মিসবাহ। ৩৯ বলে চারটি ছক্কা ও তিন চারে করলেন ৬১।
তবে বড় ভূমিকা রেখেছেন আল-আমিন, থিসারা পেরেরা, এমনকি মাত্র ১৮ রান করা ড্যারেন স্যামিও। এই তিনজনের ইনিংস তিনটা না হলে মিসবাহর চেষ্টাই যে বৃথা যেত। ২৮ বলে ৩৮ করেছেন আল-আমিন, ১৭ বলে ৪৩ এসেছে পেরেরার ব্যাটে, মাত্র ৭ বলে ১৮ করেছেন স্যামি। শেষ ৬ ওভারে ঠিক ৯১ রানই তুলেছে রংপুর।
প্রথম দুই ওভারে মাত্র ৫ রান দিয়ে দুই উইকেট নেওয়া মোহাম্মদ আমির চেষ্টা করেছিলেন বটে। কিন্তু ইনিংসের ১৫তম ওভারে নিজের তৃতীয় ওভারটি করতে এসে হজম করলেন ১৭ রান। সেখান থেকেই রংপুরের ঘুরে দাঁড়ানোর শুরু। পাঁচ বছর পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের আবহে ফিরে আমির শেষ ওভারে আরও দুটো উইকেট নিলেও দলের পরাজয় ঠেকাতে পারেননি।
আমিরের ১৯তম ওভারটি আবারও ম্যাচে ফিরিয়ে এনেছিল চট্টগ্রামকে। রংপুরের দুই সর্বোচ্চ স্কোরার পেরেরা-মিসবাহ দুজনেই পর পর দুই বলে ফিরিয়ে দিয়েছিলেন। ভেঙেছিল তাদের ৩৫ বলে ৮০ রানের জুটিটাও। শেষ ওভারে দরকার ছিল ১৪। উইকেটে এসেই তলোয়ারের মতো ব্যাট চালাতে শুরু করেন স্যামি। শফিউলের করা ওই ওভারের প্রথম বলটা ডট গেলেও পরের তিন বলে নেন ১২ রান। ২ বলে ২ দরকার এমন সময় স্যামির রান আউট আরও নাটক জমিয়ে তোলে। সজীব সোজা ব্যাটে খেলে এক রান নিয়েই তাই হয়ে যান সতীর্থদের নায়ক!
ব্যাটে বলে দিনটা একদমই খারাপ গেছে দীর্ঘ ভ্রমণ শেষে গতকালই বাংলাদেশে আসা সাকিব আল হাসানের। তবে অধিনায়ক হিসেবে নিশ্চয়ই তৃপ্ত তিনি। তামিম যেমন ৫১ রান করেও তাই পরাজিতের দলেই। ম্যাচ সেরা হয়েছেন মিসবাহ।