খোলা বাজার২৪ ॥ রবিবার, ২২ নভেম্বর ২০১৫ : যুদ্ধাপরাধের দায়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের মধ্য দিয়ে সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর দাম্ভিকতার পতন ঘটেছে বলে মন্তব্য করেছেন খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম।
রোববার প্রথম প্রহরে বিএনপি নেতার মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের পর দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এক সমাবেশে বক্তব্যে এই প্রতিক্রিয়া জানান তিনি।
কামরুল বলেন, “তিনি (সাকা চৌধুরী) আমাকে নিয়ে বিদ্রুপ করেছিলেন, নিজে নিজে বহুত অহমিকা করতেন, গত রাতে তার এই দাম্ভিকতার পতন হয়েছে। শহীদ সন্তানদের সেই দায় মুক্তি হয়েছে।”
মুসলিম লীগ নেতার ছেলে সালাউদ্দিন কাদের তার দাম্ভিকতা আর মন্তব্যের জন্য ছিলেন বিতর্কিত। যুদ্ধাপরাধের বিচার নিয়ে কটাক্ষ করতেন তিনি।
বিএনপি নেতার সঙ্গে জোটসঙ্গী জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মো. মুজাহিদেরও যুদ্ধাপরাধের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয়েছে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে।
দুই যুদ্ধাপরাধীর ফাঁসির রায়ে সন্তোষ জানিয়ে আনন্দ মিছিল করেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা। ওই মিছিলের আগে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কামরুল।
তিনি বলেন, “এবার রায় কার্যকরের পূর্বে কোনো পশ্চিমা দেশ কিংবা কোনো বিদেশি লবিস্ট গতবারের মতো প্রধানমন্ত্রীরর কাছে আপিল করার সাহস পায়নি।”
জামায়াতকে নিষিদ্ধ করা এখন ‘সময়ের ব্যাপার মাত্র’ মন্তব্য করে মন্ত্রী বলেন, “প্রধানমন্ত্রী সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নেবেন।”
সমাবেশে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা হাছান মাহমুদ হরতাল ডাকায় জামায়াতের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
“যারা আদালতকে অমান্য করে হরতাল ডাকে, তারা সম্পূর্ণভাবে আদালতকে অবমাননা করেছে। যারা আদালতকে অমান্য করে হরতাল ডাকে, তাদের দল বাংলাদেশে রাজনীতি করতে পারে না। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক।”
রমনা থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল বাসারের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, কেন্দ্রীয় উপ কমিটির সহ সম্পাদক বলরাম পোদ্দার, এম এ করিম, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক অরুণ সরকার রানা।