খোলা বাজার২৪ ॥ সোমবার, ২৩ নভেম্বর ২০১৫: নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ঢাকা মেট্টোপলিটন পুলিশের একজন কর্মকর্তা জানান, ফাঁসির আগে সাকা চৌধুরী এবং মুজাহিদকে খাবার খেতে দেওয়া হয়। খাবারের তালিকায় ছিল মুরগির মাংস এবং সবজি। প্রথমে সাকা চৌধুরী খাবারের প্লেট ছুড়ে মারেন। তখন তাকে বলা হয়, এটি আপনার শেষ খাওয়া। তখন তিনি প্লেট তুলে খেয়ে নেন। ফাঁসি নিশ্চিত। তা জেনেও সেই চিরাচরিত স্বভাবে মৃত্যুর কিছুক্ষন আগেও শেষ খাবারের প্লেট ছুড়ে মেরে জীবনের শেষ রাগ দেখিয়ে গেলেন সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী।
ফাঁসি কার্যকরের প্রস্তুতিতে অংশ নেওয়া ডিএমপির ওই পুলিশ কর্মকর্তা আরো জানান, সাল্হাউদ্দিন কাদের চৌদুরী এবং আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের কনডেমড সেল থেকে জমটুপি পরিয়ে ফাঁসির মঞ্চের দিকে যখন নেওয়া হয়, তখন তারা কোনো প্রতিক্রিয়া দেখাননি।
ওই সূত্র আরো জানায়, উভয়ের স্বজনরা যখন তাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে আসেন, তখন সাকা চৌধুরী স্বজনদের কাছে আবেগতাড়িত না হলেও বদরনেতা মুজাহিদ ছোট দুই মেয়েকে জড়িয়ে ধরে কান্নায় ভেঙে পড়েন। এ সময় পরিবারের অন্য সদস্যরাও কান্নায় ভেঙে পড়েন। পরে কারারক্ষীরা সেখান থেকে তাদের নিয়ে আসেন।
উল্লেখ্য, শনিবার দিবাগত রাত ১২টা ৫৫ মিনিটে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী ও আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদের ফাঁসি কার্যকর করা হয়।