খোলা বাজার২৪ ॥ সোমবার, ২৩ নভেম্বর ২০১৫: বাতাক্লঁ কনসার্ট হলে তখন ঈগলস অফ ডেথ মেটাল রক ব্যান্ডের পারফরম্যান্স চলছে। গত ১৩ নভেম্বর শুক্রবার উপস্থিত শ্রোতারা উইকেন্ডের মেজাজে। কে জানত, সেই রক সঙ্গীতের তাল খানিক ক্ষণ বাদেই কেটে দেবে কালাশনিকভের বুলেটের আওয়াজ। হলের মধ্যেই প্রচুর মানুষ গুলিবিদ্ধ হন। আহত হন অনেকে। তার মধ্যে ছিলেন মার্কিন নিবাসী ৩৬ বছরের ম্যাথেউ। একটি বুলেট ছুটে এসে তাঁর পায়েও লাগে। তবে শেষ পর্যন্ত বেঁচে যান তিনি।
তবে এই প্রথমবার নয়। এই নিয়ে দ্বিতীয়বার সন্ত্রাসবাদী হামলার সম্মুখীন হলেন ম্যাথেউ। আশ্চর্যভাবে ২ বারই বেঁচে গিয়েছেন তিনি। প্রথমবার ছিল ২০০১ সালে ১১ সেপ্টেম্বর আল-কায়দার ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের হামলা। তখন সদ্য চাকরিতে ঢুকেছেন তিনি। একটি জরুরি কাজে সে দিন তিনি যাচ্ছিলেন ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের কাছে একটি অফিসে।
সে দিনের অভিজ্ঞতা সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘সদ্য চাকরিতে ঢুকেছি। একটি দরুরি মিটিংয়ের জন্য গিয়েছিলাম ম্যানহাটনে। ঘটনাচক্রে সেই অফিসটিও ছিল ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের কাছেই। আমি যখন রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাচ্ছি, সে সময় একটি প্লেন এসে আঘাত করে একটি বিল্ডিংয়ে। প্রায় অর্ধেক ম্যানহাটন সে দিন দৌড়েছিল সে দিন।’
তবে দ্বিতীয়বারের অভিজ্ঞতা বেশ ভায়নক। ম্যাথেউ ভাবেননি, তিনি বেঁচে ফিরতে পারবেন। তিনি বলেন, ‘ছোট বাচ্চার জন্য বেবিসিটার জোগাড় করা যায়নি। সে জন্য স্ত্রী সঙ্গে আসেননি সে দিন। আমি এক বন্ধুর সঙ্গে গিয়েছিলাম কনসার্টে। অনুষ্ঠানের মাঝেই গুলি চালাতে শুরু করে জঙ্গিরা। একটি গুলি লাগে আমার পায়ে। আমি মরার ভান করে পড়ে ছিলাম অনেক ক্ষণ। ওই গুলিবৃষ্টির মধ্যেই যখন জঙ্গি বন্দুকের ম্যাগাজিন পাল্টাচ্ছিল সে সুযোগে কোনও ক্রমে হিঁচড়ে নিজেকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলাম। পরে বেরিয়ে যাওয়ার দরজা চোখে পরে। সেটা খুলতেই কয়েকজন এসে আমায় উদ্ধার করে।’ ঘটনায় অক্ষত ছিলেন ম্যাথেউ-র বন্ধু।