খোলা বাজার২৪ ॥ সোমবার, ২৩ নভেম্বর ২০১৫: জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদের ফাঁসি কার্যকরের প্রতিবাদে সোমবার জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশের ডাকা সকাল-সন্ধ্যা হরতাল চলছে। তবে হরতালে সকাল থেকেই মাঠে জামায়াত-শিবিরের নেতা-কর্মীদের দেখা মেলেনি।
হরতালে নাশকতা মোকাবেলায় রাজধানীসহ সারা দেশে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত আমির মকবুল আহমাদ স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে রবিবার এ হরতালের ডাক দেওয়া হয়।
সকাল-সন্ধ্যা হরতালকে কেন্দ্র করে রবিবার রাজধানীতে ১৩ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।
হরতালে সকাল থেকে রাজধানীতে জনজীবন স্বাভাবিক রয়েছে। কর্মব্যস্ত মানুষ হরতাল উপেক্ষা করে অন্যান্য সাধারণ দিনের মতোই সকাল থেকে কর্মস্থলে যাচ্ছেন। পাশাপাশি যনবাহন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। রাজধানীর প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে বসানো হয়েছে পুলিশের চেকপোস্ট। সেখানে পথচারী, সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও রিকশা থামিয়ে চলছে তল্লাশি। পাশাপাশি রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) বিভিন্ন সাঁজোয়াযান টহল দিতে দেখা যাচ্ছে। রাজধানীতে অন্যান্য দিনের মতোই বড়-ছোট বাস, মাইক্রোবাস, প্রাইভেটকার, সিএনজিচালিত অটোরিকশা, রিকশা চলাচল করতে দেখা গেছে।
এদিকে বাণিজ্যিক এলাকা মতিঝিল ব্যাংক পাড়ায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। সাধারণ দিনগুলোতে সকাল ১০টার মধ্যে ব্যাংক, বীমা ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রধান ফটক খুলে দেওয়া হলেও সোমবার তা বন্ধ ছিল। হরতালের কারণে প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের মূল ফটক বন্ধ রেখেছে। তবে মূল ফটক বন্ধ থাকলেও বিকল্প প্রবেশ পথ খোলা রয়েছে।
সোমবার সকালে সরেজমিনে রাজধানীর মগবাজার, মৌচাক, মালিবাগ, রাজারবাগ, কমলাপুর, মতিঝিল, ইত্তেফাক মোড়, দৈনিক বাংলা, বায়তুল মোকাররম এলাকা ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।
এ বিষয়ে মতিঝিল থানার ভ্রাম্যমাণ পরিদর্শক শেখ আবুল বাশার বলেন, ‘হরতালে মতিঝিল, দৈনিক বাংলা, ইত্তেফাক মোড় এলাকা স্বাভাবিক রয়েছে। সকাল থেকে কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। হরতালে জনজীবন স্বাভাবিক রয়েছে বলে মনে হচ্ছে। তাছাড়া সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।’
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক সাগর আনোয়ার জানান, সোমবার হরতাল চলাকালীন সময়ে রাজধানীর মিরপুর-১০, শেওড়াপাড়া, কাজীপাড়া, আসাদ গেইট, সংসদ ভবন , ফার্মগেইট এসব এলাকায়ও জনজীবন ছিল স্বাভাবিক।
সকাল সাড়ে ৮ টার দিকে মিরপুর-১০ নম্বর মোড়ে রাজধানীর বিভিন্ন রোডের বাসের ভিড় দেখা গেছে। অফিসগামী যাত্রীদেরও বাসে নির্বিঘেœ চলাচল করতে দেখা গেছে। এছাড়া শেওড়াপাড়া ও কাজীপাড়ায় বাস চলাচল ছিল স্বাভাবিক ।
সকাল ৯ টার দিকে রাজধানীর সংসদ ভবন ও আসাদ গেইট সংযোগ সড়কে দীর্ঘ যানজটে বাস ও প্রাইভেটকার আটকে থাকতে দেখা গেছে। এসব সড়কে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের উপস্থিতিও ছিল লক্ষ্যণীয়।
ফার্মগেটের খামারবাড়ী এলাকায় যানজটে আটকে থাকা মতিঝিলগামী যাত্রীবাহী বাস এনার চালক রমিজ উদ্দিন দ্য রিপোর্টকে বলেন,‘ হরতালে রাস্তা একটু ফাঁকা। কিন্তু অন্যান্য হরতালের মতো রাজধানীতে প্রভাব নেই।