খোলা বাজার২৪ ॥ সোমবার, ২৩ নভেম্বর ২০১৫: জাতীয় সংসদের উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর স্বামী মুক্তিযোদ্ধা গোলাম আকবর চৌধুরী মারা গেছেন, যিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঘনিষ্ঠ ছিলেন।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে (বিএসএমএমইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে তার মৃত্যু হয়।
গোলাম আকবর চৌধুরীর বয়স হয়েছিল ৮৪ বছর। ভাষা আন্দোলনের সময় চট্টগ্রামে সর্বদলীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের এই সভাপতি মুজিবনগর সরকারের পরিকল্পনা সেলেরও সদস্য ছিলেন।
তার মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী ও ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়া শোক প্রকাশ করেছেন।
গোলাম আকবর চৌধুরী বাধ্যর্কজনিত নানা রোগে আক্রান্ত হয়ে দীর্ঘদিন বিএসএমএমইউতে চিকিৎসাধীন ছিলেন। গত ১ নভেম্বর তাকে ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে (আইসিইউ) স্থানান্তর করা হয়।
বিএসএমএমইউ পরিচালক (হাসপাতাল) মো.আবদুল মজিদ ভূঁইয়া জানান, আইসিইউতে চিকিসাধীন অবস্থায় সোমবার সকাল সাড় ১০টার দিকে মারা যান গোলাম আকবর চৌধুরী।
তার মৃত্যুর সংবাদ শুনে দুপুরে সাজেদা চৌধুরীর গুলশানের বাসায় যান প্রধানমন্ত্রী ।তিনি সেখানে কিছু সময় থাকেন এবং পবিবারের সদস্যদের সান্ত্বনা দেন।
রাষ্ট্রপতি তার শোকবার্তায় বলেন, “গোলাম আকবর চৌধুরীর মৃত্যুতে দেশ একজন বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধাকে হারাল।”
তিনি গোলাম আকবর চৌধুরীর বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জানান।
প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়,গোলাম আকবর চৌধুরীর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বিবৃতিতে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “গোলাম আকবর চৌধুরী ছিলেন জাতির পিতার অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ। ভাষা আন্দোলনে তার সভাপতিত্বে চট্টগ্রামে সর্বদলীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ গঠিত হয়। তিনি মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন মুজিবনগর সরকারের পরিকল্পনা সেলের অবৈতনিক সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।”
তিনি বলেন,“সপরিবারে বঙ্গবন্ধু হত্যা পরবর্তী দুঃসময়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের একজন প্রকৃত শুভাকাক্সক্ষী হিসেবে তিনি সাহসিকতাপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। আওয়ামী লীগের সভানেত্রী নির্বাচিত হওয়ার পর আমার স্বদেশ প্রত্যাবর্তনকালীন সময়েও তিনি সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন।
“তার মৃত্যুতে বাংলাদেশ একজন দেশপ্রেমিক নাগরিককে হারাল, ব্যক্তিগতভাবে আমি একজন সুহৃদকে হারালাম।”
গোলাম আকবর চৌধুরী স্ত্রী, তিন ছেলে ও এক মেয়ে রেখে গেছেন।