Thu. Mar 13th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

57খোলা বাজার২৪ ॥ সোমবার, ২৩ নভেম্বর ২০১৫: দু হাত কোমরে। মুখে রাজ্যের অন্ধকার। তামিম ইকবালকে মনে হচ্ছিল পৃথিবীর অসহায়তম মানুষ। আর কী করতে পারেন চট্টগ্রাম অধিনায়ক! প্রথম ম্যাচে তাঁর ফিফটি ১৮৭-র পুঁজি নিয়েও হেরেছে চিটাগং ভাইকিংস। আজ টানা দ্বিতীয় ফিফটিতে ১৮০ করেও হারতে বসেছিল দল। শেষ ওভারে মাত্র ৯ রান দরকার, টি-টোয়েন্টিতে এ আর কঠিন কী! কিন্তু শেষ পর্যন্ত আঁধার কেটে হাসির আলোয় উদ্ভাসিত তামিমই।
কালকের অভিজ্ঞতাটা এবার অন্যভাবে ফিরে এল তামিমের কাছে। কাল শেষ ওভারের শেষ বলে হেরেছিলেন। আজ শেষ শেষ বলে জিতল চট্টগ্রাম। এক রানে সিলেট সুপার স্টার্সকে হারিয়েছে চট্টগ্রাম। এবার ফিফটি করেও পরাজয়ের মুখ দেখতে হলো মুশফিকুর রহিমকে। নানা নাটকীয়তায় এক ঘণ্টা দেরিতে শুরু ম্যাচটাও শেষ হলো নাটকের রোমাঞ্চ ছড়িয়েই।
ভালো পুঁজি পেলেও চট্টগ্রামকে প্রথম ম্যাচে ডুবিয়ে বোলাররা। আজও কিছুতেই সিলেটের রানে বাঁধ তুলতে পারছিলেন না তাঁরা। একা মোহাম্মদ আমির প্রথম ম্যাচের মতো আজও এক পাশটা ধরে রেখেছিলেন। কিন্তু অন্যপ্রান্তে ​বার বেরোচ্ছিল “োর। এক দিলশান মুনাবীরাই ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে টানা ছয় চারে ২৪ তুলেছেন। ১৩ চার ও ১ ছক্কায় ৩০ বলে ৬৪ করে কাজটা অনেক দূর এগিয়ে রেখেছিলেন মুনাবীরাই।
অষ্টম ওভারে সাঈদ আজমলের জোড়া আঘাতে সিলেট সাময়িক ধাক্কা খেলেও মুশফিক আর নুরুল হাসান ভালোভাবেই এগিয়ে নিচ্ছিলেন দলকে। ২০ বলে ৩২ করে নুরুল ফিরে গেলেও মুশফিক ঠিকই ছিলেন সিলেটের ভরসা হয়ে। পর পর দু ওভারে নুরুল আর নাজমুল হোসেনকে ফিরিয়ে দিয়ে চাপটা সিলেটের ওপর তুলে দেন শফিউল।
আর সেই চাপের পুরো সদ্ব্যবহার করেন আমির। ১৮তম ওভারে দিয়েছেন মাত্র ৫ রান। রান তোলার তাগিদেই শহীদ ওই ওভারে রান আউট। শেষ ওভারটাই ছিল ম্যাচের ফল নিয়ন্ত্রক। ৬ বলে দরকার ছিল মাত্র নয় রান। প্রথম বলে মুশফিক এক রান নিলে অজন্তা মেন্ডিস স্ট্রাইকিং প্রান্তে যান। আমির পর পর দুটো ডট তুলে নেন। ফলে মুশফিক এগিয়ে এসে মেন্ডিসকে নির্দেশ দেন, বল ব্যাটে লাগুক আর না-ই লাগুক, প্রান্ত বদল করতে হবে।
মেন্ডিস সেটাই করেন। চতুর্থ বলে ব্যাটে বল না লাগলেও দেন পড়িমরি ছুট। উইকেটরক্ষক পেছন থেকে ছুড়েও বল স্টাম্পে লাগাতে পারেননি। শেষ দুই বলে দরকার সাত, ছয় হলেও ম্যাচ টাই। স্ট্রাইকে পেয়েই এক্সট্রা কাভার দিয়ে মুশফিকের চার। শেষ বলে জয়ের জন্য চাই তিন, দুই হলেও টাই। অফ স্টাম্পের বাইরে ফুল লেংথের বলটা মুশফিক ঠিকভাবে লাগাতে পারেননি। সোজা কাভারের ফিল্ডারের হাতে। ছুটে গিয়ে মুশফিক এক রান নিতে পারলেও আর দ্বিতীয় রানের জন্য ছোটেননি। ছুটলেও লাভ হতো না। শেষ বলে এক রানে জিতে গেল চট্টগ্রাম